বিপিএলে প্রথমবার লভ্যাংশ শেয়ার করার সিদ্ধান্ত
Published: 29th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এতদিন আয়োজক বোর্ড সম্পূর্ণ টিকিট বিক্রির অর্থ নিজেরাই রাখলেও এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন, যদি টিকিট বিক্রি থেকে ভালো পরিমাণ আয় হয়, তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে তা ভাগ করে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘টিকিট থেকে যদি ভালো আয় হয় এবং আমরা লাভবান হই, তাহলে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকেও একটি অংশ দিতে চাই। আমরা তাদের এই বার্তা দিতে চাই যে, আমরা তাদের পাশে আছি।’
তবে কত শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিসিবির এই সিদ্ধান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আর্থিক নিশ্চয়তা কিছুটা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বিসিবির সভায় চিটাগং কিংস ছাড়া বাকি ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি উপস্থিত ছিল। মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আর্থিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়, যেখানে প্রধান আলোচ্য ছিল লভ্যাংশ ভাগাভাগির এই নতুন নীতিমালা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শক তাকে দেখেছে ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশ বছর পার করেছেন নায়ক জিৎ।
এবার নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদে বলিউডে অভিষেক ঘটল জিতের। এবার তিনি জানালেন, তার কাছে হিন্দির চেয়ে বাংলায় কাজ করাই নাকি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে জিৎ বলেন, ‘এত বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে বাণিজ্যিক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যারা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি হিন্দিতে ভাবি।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার একে-অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে নিজেদের মতো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের সমীকরণ ভীষণই ভালো। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর জন্য যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, তখনও মনে হয়নি প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছি আমরা। সেটা আমাদের এত সহজ সুন্দর সমীকরণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।”
হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টালিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা।
জিতের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে টালিউডে ‘বিজয়’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশ। সেই ‘সাথী’ বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে আজও অন্যতম মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। টানা ২৫ সপ্তাহ হাউজফুল শো উপহার দিয়েছিল ‘সাথী’। ফিল্মি কেরিয়ারের গোড়াতেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন জিৎ। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘সাথী’র বিজয় থেকে টালিউডের ‘বস’ হয়ে উঠেছেন জিৎ।
গত ২ দশকে ৫৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ২০টির বেশি ব্লকবাস্টার এবং একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘খাকি ২’ চর্চার শিরোনামে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।