ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রন সংস্থার (বিসিসিআই) সাবেক সচিব এবং বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডিসেম্বরের ১ তারিখে। এরপরই দুই মাসের মাথায় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি, ২০২৫) পদত্যাগ করেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ অ্যালারডাইস। জয় শাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম আইসিসি রড় কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অ্যালারডাইসের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে 'নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার' আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছেন তিনি। সরে দাঁড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময় মনে হয়েছে তার কাছে।

আরো পড়ুন:

৩ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে নায়ক-নায়িকার চুলোচুলি

ন্যায়বিচারের স্বার্থে ভারত হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে, আশা ক্যাডম্যানের

 

বিদায়ী বার্তায় ৫৭ বছর বয়সী আইসিসির সাবেক এই উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করে তিনি গর্বিত। অ্যালারডাইস বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সম্মানের বিষয়। ক্রিকেটের বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতি বাড়ানো থেকে শুরু করে আইসিসির সদস্যদের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তি স্থাপন করা পর্যন্ত আমরা যা কিছু অর্জন করেছি, তাতে আমি ভীষণ গর্বিত।”

২০১২ সাল থেকেই আইসিসিকে কাজ করেন অ্যালার্ডিস। এরপর ২০২১ সালে প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি। স্থায়ী হওয়ার আগে অন্তর্বর্তী সিইওর দায়িত্ব পালন করেছেন ৮ মাস। মানু সাশ্বনি বরখাস্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান সাবেক এই ক্রিকেটার। আইসিসিতে

অ্যালারডাইস তার বিদায় বার্তায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি। একই সাথে তিনি ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন, “গত ১৩ বছর ধরে আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আইসিসি চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও গোটা ক্রিকেট সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, পদত্যাগ করার এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্য এটাই সঠিক সময়। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ক্রিকেটের সামনে রোমাঞ্চকর সময় অপেক্ষা করছে। আর আমি আইসিসি ও বিশ্ব ক্রিকেট সম্প্রদায়ের জন্য ভবিষ্যতে সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।”- অ্যালারডাইস যোগ করেন।

এদিকে আইসিসির চেয়ারম্যান জয় অ্যালারডাইসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, “প্রধান নির্বাহী থাকাকালীন তার নেতৃত্ব ও নিবেদনের জন্য আইসিসি বোর্ডের পক্ষ থেকে জেফকে (অ্যালারডাইস) আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তার প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার কাজের জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ এবং তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স আইস স র র জন য কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের তীব্র নিন্দা

সুদানে জাতিসংঘের এক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নৃশংস ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’

সুদানের কোরদোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ভবনটিতে গতকাল শনিবার এ হামলা হয়।

গুতেরেসের বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন।

গুতেরেস বলেন, ‘দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

হামলায় নিহত শান্তিরক্ষীদের সবাই বাংলাদেশি। তাঁরা ইউএন ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেইয়ের (ইউএনআইএসএফএ) হয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। হামলায় আরও আট শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন।

সুদানের সেনাবাহিনী ওই হামলার দায় র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামে দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে।

সুদানে দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে এ লড়াই চলছে।

আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সুদানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এ হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া এবং এর পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের ধ্বংসাত্মক কৌশলের স্পষ্ট প্রকাশ।

সুদান সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওতে একটি স্থান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যাচ্ছে। তারা বলেছে, এটি জাতিসংঘের স্থাপনা।

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহত হওয়ার এ ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দক্ষিণ কোরদোফানে আজ (শনিবার) শান্তিরক্ষীদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।.আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মহাসচিব

যেখানে হামলা হয়েছে, সেই তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে আলাদা হয়ে দক্ষিণ সুদান একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে সেখানে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন মোতায়েন রয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত আবেই বিশেষ প্রশাসনিক মর্যাদার অঞ্চল।

সুদানের আবেই অঞ্চলে একটি সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন জাতিসংঘের একজন শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ