নাটোরে সেচ পাম্প স্থাপন নিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সেচ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রওশন আলী।

মামলার শুনানি শেষে বিচারক তৌহিদুর রহমান সুমন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে ডিবির ওসিকে নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো.

আয়নাল হক। 

বাদীর অভিযোগ, তার কৃষি খামারের সেচের জন্য সরকারি সেচ প্রকল্পের পাম্পের জন্য আবেদন করেন। এ জন্য তিনি কয়েক দফায় নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীকে দাবি অনুযায়ী তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন। এরপরও দিনের পর দিন ঘুরিয়ে তার প্রকল্পে সেচ পাম্প না বসিয়ে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে অন্য মৌজায় সেচ পাম্প স্থাপন করেন এবং শুভ নামে একজনকে ম্যানেজার নিয়োগ করেন। যার ওইখানে কোনো জমি নেই।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “মামলা হয়েছে শুনেছি। অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওই কৃষককে আমি চিনি না। এ ধরনের কোনো কিছু হয়নি। তদন্তে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

ঢাকা/আরিফুল/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ