সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি
Published: 29th, January 2025 GMT
সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলোর নড়াইল প্রতিনিধি রাজু শেখকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি সকালে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে অবস্থিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ ও কলেজের পূর্ব পাশের ফটকের পাশের একটি ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য নিয়ে সংবাদ পাঠান রাজু শেখ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদটি প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়। এরপর রাত ১১টা ২৫ মিনিটে অপরিচিত মুঠোফোন নম্বর থেকে রাজু শেখকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ভাঙচুরের সংবাদ প্রকাশ করার কারণে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
সাংবাদিক রাজু শেখ বলেন, ‘‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ হুমকির শিকার হয়েছি। এই হুমকি শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত নয়, বরং গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমি আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।’’
নড়াইল প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব মাহবুবুর রশীদ লাবলু বলেন, ‘‘প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে সে বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ করার সুযোগ আছে। সে সুযোগ কাজে না লাগিয়ে গণমাধ্যমকর্মীকে ব্যক্তিগত ভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া অপরাধ। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’’
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘হুমকির ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/শরিফুল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।