Samakal:
2025-01-31@10:45:41 GMT

এত কিছুর পরও চেক বাউন্স

Published: 29th, January 2025 GMT

এত কিছুর পরও চেক বাউন্স

লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে আসার আগে ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে পাওয়া চেক ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। গতকাল তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ার কথা ছিল। অথচ দুপুরের আগেই খবর রটে– আবারও চেক বাউন্স। ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের এমডি শফিকুর রহমানের প্রতিশ্রুতি ছিল প্রথম কিস্তির পারিশ্রমিকের দ্বিতীয় ২৫ শতাংশ পেয়ে যাবেন সবাই। সে আশার গুড়ে বালি পড়ে দ্বিতীয়বার চেক বাউন্সে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবার চেক বাউন্স হয়নি। সৌভাগ্যবান কয়েকজন ক্রিকেটার টাকা পেয়েছেন। মূলত সিনিয়র ক্রিকেটারদের শান্ত রাখতেই এ কৌশল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক শফিকুরের। অথচ দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দেওয়ার পর ঘটা করে চেক দেওয়া হয়েছিল। চেকের ছবি তুলে কেউ কেউ ফেসবুকেও দিয়েছিলেন। তারা তো আর জানতেন না, চেক বাউন্সে নতুন করে রক্তক্ষরণ হবে হৃদয়ে। 

প্রশ্ন হচ্ছে, এত কিছুর পরও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভায় কীভাবে উপস্থিত থাকেন ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বত্বাধিকারী শফিকুর। তবে কি বিসিবি থেকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে তাঁকে? ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউসিএ) থেকে এ প্রশ্ন উঠেও গেছে। যদিও বিপিএলের দুর্নামের এই ক্ষতে প্রলেপ দিতে ভেতরে ভেতরে তাসকিন আহমেদদের বকেয়া পরিশোধের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে বিসিবি।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, স্মরণীয় একটি বিপিএল করতে চান। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর আগে নাচগানের আয়োজন করে সাড়া ফেলতে চেয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায় পাকিস্তানি শিল্পী উস্তাদ রাহাত ফতেহ আলি খানকে ভাড়া করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন তারা। সিলেট, চট্টগ্রামেও কনসার্ট আয়োজন করে জানান দিতে চেয়েছিলেন জোরেশোরে– আবার এলো বিপিএল। পাঁচতারকা হোটেলে মাসকট উদ্বোধন, বিপিএলকে তারুণ্যের উৎসব ঘোষণা করা, জুলাই বিপ্লবকে তুলে ধরার উদ্যোগ প্রশংসিত হলেও মাথা কাটা গেছে দুর্বার রাজশাহী ও চিটাগং কিংস নিয়ম মেনে ক্রিকেটারদের টাকা না দেওয়ায়। 

সরকারি সহায়তায় বিশ্ব তারকাদের বিপিএলে আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম। বাস্তবতা বিবর্জিত সে চিন্তা মাঠে মারা গেছে আগেই। অভিযোগ উঠেছে, বিসিবির এই কর্মকর্তার অদক্ষতা ও অদূরদর্শিতায় দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি বৈশ্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ডব্লিউসিএ থেকে প্রতিবাদ এবং সমালোচনা করা হয়েছে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের সম্মানী না দেওয়ায়। বিসিবি কর্তাদেরও নিন্দামন্দ কম হচ্ছে না।

বিসিবি সভাপতির চেষ্টায় প্রথম কিস্তির ২৫ শতাংশ টাকা পেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের খেলা শুরুর সময় তাসকিনদের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন ফারুক আহমেদ। গতকাল একজন পরিচালক সমকালকে বলেন, ‘রাজশাহীর ক্রিকেটারদের টাকা বোর্ডকেই দিতে হবে। কোন প্রক্রিয়ায় দেওয়া যায়, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

যাচাই-বাছাই ছাড়া ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের শফিকুর আর চিটাগং কিংসের সামির কাদেরকে ফ্র্যাঞ্চাইজি করে বিসিবি সভাপতি নিজেই বিপদ ডেকে এনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে উদ্ধারের পথও খোঁজা হচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সন্দেহ রাজশাহী ও চিটাগংকে সুবিধা দিতেই তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে থাকা দুই দলকে ৬০ ও ৪০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের গতকালের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বিপিএলে এই প্রথম তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানের দলকে টাকা দেওয়া হবে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের প্রাইজমানি ৫০ লাখ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বিসিবির একজন কর্মকর্তা। চ্যাম্পিয়নরা পাবে আড়াই কোটি, রানার্সআপ পাবে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া টিকিট থেকে প্রাপ্ত আয়ের লভ্যাংশ দেওয়া হবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। তবে কত শতাংশ দেওয়া হবে– এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ফাহিম। গতকালের সভায় চিটাগং কিংস ছাড়া বাকি ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি উপস্থিত ছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমি এসব থেকে মুক্তি চাই: তারিক আনাম

উনি তো বাংলাদেশের অমিতাভ বচ্চন, শোবিজ অঙ্গনে এ বাক্যটি প্রায়ই শোনা যায় তাঁর সহকর্মীদের মুখে। কেবল অমিতাভদের মতো করে কাজে লাগানো হয়নি। তাঁকে কেন্দ্র করে গল্প ভাবলে, গল্পের মূল শক্তিতে যদি তাঁকে রাখা হয়, তাহলে দারুণ কিছু পেতে পারত ঢাকার সিনেমা কিংবা নাটকের ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু ক’জন ভাবে এটা। অধিকাংশের ভাবনায় কেবল ট্রেন্ডি কনটেন্ট। ভাইরাল শিল্পী। ফলে ঢাকার শোবিজে দাপুটে অভিনেতা হয়েও অমিতাভ কিংবা রজনীকান্তদের মতো প্রভাব নিয়ে পর্দায় হাজির হতে পারছেন না। তিনি তারিক আনাম খান।  

ব্যক্তিজীবনে যিনি সৌম্য, শান্ত, ধীরস্থির প্রকৃতির একজন মানুষ। অভিনয়ে প্রথাগত নন। আলাদা একটি বৈশিষ্ট্য নিয়েই চলমান। তারিক আনামের সঙ্গে যারা মেশেন বা যারা তাঁকে জানেন তারা কায়মনোবাক্যে স্বীকার করবেন তিনি বলেন কম, শোনেন বেশি। শোঅফ কম, করেন বেশি। 

সদা গম্ভীর প্রকৃতির একজন মানুষ হয়েও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রায় প্রতিটি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন নিজের অভিনয় সৌকর্য ও সাংগঠনিক দূরদর্শিতা দিয়ে। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে মঞ্চের আলোয় আলোকিত তিনি। গ্রুপ থিয়েটারের অন্যতম দল নাট্যকেন্দ্রের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠলেও নিজের ভেতর বিন্দুমাত্র অহমিকা নেই। নেই ‘অনেক কিছু করেছি টাইপ’ দৃষ্টিভঙ্গি।

নতুন বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল তারেক আনাম খান অভিনীত ‘মেকআপ’ সিনেমাটি। বহু আগে শুটিং হওয়া এ সিনেমাটি বারবার সেন্সর বোর্ডের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল। মূলত দেশের শোবিজ অঙ্গনের খুঁটিনাটি বিষয় ও সম্পর্কের বিষয়গুলো চিত্রায়ণ করায় এই নিষেধাজ্ঞা। এই সিনেমায় একজন সুপারস্টার নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তারিক আনাম খান। সিনেমাটি ব্যবসা করতে পারেনি। পারছে আলোচনায় আসতে। যেটা পেরেছে সেটা তারিক আনাম খানকে নতুন করে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে। যে তারিক আনাম খানদের এই সময়ের নির্মাতারা এড়িয়ে চলেন, কিংবা শুধু বাবার চরিত্রের জন্যই কাস্ট করেন, তাদের নতুন করে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছেন। এই ছবিতে তারিক আনাম খান সত্যি সত্যিই দেখিয়েছেন বয়স একটা সংখ্যামাত্র। তাঁকে নিয়ে বহুমাত্রিক চিন্তা করার সময় এখন। তবে সেই চিন্তা কতটা প্রসারিত হবে, তা অজানা। যদিও অভিনেতা অনেকটা কৌতুকের সুরেই বিষয়টি সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলেন, এখন তো সব সিনেমায় বাবা চরিত্রেই অভিনয় করছি। আমি তো জাতীয় বাবা হয়ে গেছি। এর থেকে মুক্তি চাই।’

 তাঁর মতে, সিনিয়র শিল্পীদের চরিত্র নিয়ে নির্মাতাদের আলাদা করে ভাবা উচিত। যেখানে বলিউডে সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে আলাদা গল্প বলা হয়। কিন্তু আমাদের এখানে এটা হয় কী? আমাদের নিয়ে নতুন নতুন ভাবনার গল্প তৈরির লোক কই? কথাগুলো বলার সময় এক ধরনের আক্ষেপ ছিল বরেণ্য এই অভিনেতার। ছিল অতৃপ্তিও। তাই কথা বলতে বলতে ফিরে যাওয়া হয় অতীত স্মৃতিতে। যে স্মৃতি বর্ণিল, রঙ্গিন। যাকে সবাই সোনালি দিন বলেই সম্বোধন করেন। সেই সোনালি দিনগুলোর কথা কতটা মনে তারিক আনাম খানের? জানালেন, তিনি আসলে অতীত রোমন্থন করে তাতে মুগ্ধ থাকার মানুষ নন। বলেন, আমি অতীত মগ্ন মানুষ নই। স্মৃতি রোমন্থন করারও মানুষ নই। আমি মনে করি, বর্তমান সময়টাই সত্য।’ 

তারপরও অতীতের কাজের পদ্ধতি নিয়ে কথা বললেন এই অভিনেতা। কথা বলতে বলতেই উঠে এলো সব। বললেন, তখনকার সময়ের কথা যদি বলি তখন ভালো ছিল এই যে, স্ক্রিপটা নিয়ে নাট্যনির্দেশকরা অনেক আগে থেকে চিন্তাভাবনা করতেন। কমপক্ষে চারদিন নাটকের রিহার্সেল হতো। একটানা তিন ক্যামেরায় কাজ হতো, আর্টিস্ট অংশগ্রহণ করত। আমি এখন যদি এই একই ঢঙে নাটক নির্মাণ করি, তাহলে দর্শক গ্রহণ নাও করতে পারে। ওই সময় এবং এ সময়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ যদি করি, দেখা যাবে তখন সিরিয়াসনেসটা বেশি ছিল। হোমওয়ার্ক বেশি হতো। কোয়ালিটিও ছিল এবং ভালো কাজের যথেষ্ট সুযোগও ছিল। কোয়ালিটি কিন্তু আপেক্ষিক বিষয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 
  • গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
  • সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
  • কামরুল হাসানের কাছে শিল্প ধরা দিয়েছিল
  • ‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’
  • ‘রেখাচিত্রকে অবহেলা করা উচিত নয়’
  • অনুষ্ঠানে প্রবেশে নারী সাংবাদিককে ‘বাধা’, যা হয়েছিল সেদিন
  • যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় বেঁচে নেই কেউ
  • জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৫ যাত্রী নিহত
  • আমি এসব থেকে মুক্তি চাই: তারিক আনাম