ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের শিকার হয়ে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কারণ ভাঙা মঞ্চের তলায় অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। 

বাগপতে জৈন সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তার জন্যই এত বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। যে সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে তখন লাড্ডু বিতরণ করা হচ্ছিল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, লাড্ডু বিতরণের সময়ে হুড়োহুড়ি শুরু হলে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এদিক-ওদিক পালাতে চেষ্টা করেন অনেকে। সেই সময়ই মঞ্চ ভিড়ের চাপে ভেঙে পড়ে।

বাগপতের জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ৬৫ ফুট উঁচু ওই মঞ্চটি কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে বানানো হয়েছিল। তবে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়ে সেটি। ইতোমধ্যে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভাঙা মঞ্চের নিচে কমপক্ষে ২০-৩০ জন চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি বছরই জৈনদের এই অনুষ্ঠান হয় বাগপতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ‘আদিনাথ নির্বাণ লাড্ডু’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ। এবারও তাই এসেছিলেন। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু বেশি ভিড় হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব গপত

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ