ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার সল্টলেকের করুণাময়ী বইমেলা প্রাঙ্গণে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারের আয়োজনে নেই বাংলাদেশ। 

বইমেলায় এবার ফোকাল থিম কান্ট্রি জার্মানি। সেক্ষেত্রে মেলা প্রাঙ্গণের একদম কেন্দ্রে রয়েছে জার্মানির একটি বিশাল প্যাভেলিয়ান। জার্মানি ছাড়াও থাকছে ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, গুয়াতেমালাসহ অন্যান্য লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশের প্যাভিলিয়ন। থাকছে বহুজাতিক প্রকাশনা সংস্থা এবং ভারতের প্রায় সব রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থা। 

বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়নের কারণে এই প্রথম কলকাতা বইমেলায় অনুপস্থিত থাকছে বাংলাদেশি প্যাভিলিয়ন। ফলে বাংলাভাষী বইপ্রেমীরা হতাশ হয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সবার সেরা। বইমেলা আমাদের গর্ব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বই হচ্ছে ফ্রেন্ড, ফিলসফার এবং গাইড। এটি হলো আমাদের প্রেরণা, আমাদের দিশা, আশা। বই থেকেই গোটা বিশ্বের তথ্য আমরা পেয়ে থাকি। তাই বইমেলাকে আমরা ভালোবাসি। 

এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য গিল্ডের পক্ষ থেকে 'জীবনব্যাপী সাহিত্য সম্মান পুরস্কার-২০২৫' প্রদান করা হয় সাহিত্যিক আবুল বাশারকে। যার অর্থ মূল্য ২ লাখ রুপি। 

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন ধরে চলবে এই বইমেলা। দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলার প্রবেশদ্বার খোলা থাকবে। এবারের বইমেলায় প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিন মিলিয়ে সর্বাধিক প্রায় ১০০০ প্রকাশনী সংস্থা অংশগ্রহণ করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল ম খ যমন ত র বইম ল কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ