যুদ্ধবিরতির মধ্যেও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ ঘটনায় ২৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের দাবি, তারা লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে।

বুধবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম প্রধান শহর নাবাতিহে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা নাবাতিহের প্রান্তে অস্ত্র পরিবহনকারী হিজবুল্লাহর যানবাহনে হামলা চালিয়েছে।

নাবাতিহের ওপর হওয়া এই দুটি হামলার তীব্র নিন্দা এবং এগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। 

এ বিষয়ে মিকাতি মার্কিন জেনারেল জ্যাসপার জেফার্সের সাথেও কথা বলেছেন। তিনি এই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ নিযুক্ত কমিটির সভাপতিত্ব করছেন।

লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নাবাতিহে আল-ফাওকার আল-রাওদাত স্কুলের কাছে রাস্তায় একটি পিকআপ ট্রাককে লক্ষ্য করে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় গাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং রাস্তায় পার্ক করা গাড়ি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া কয়েকজন নাগরিক আহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিন ইসরায়েলি সামরিক চৌকি ও ভূখণ্ডে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকায় এবারের এই সংঘাতে লেবাননে প্রায় চার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ।

পরে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর ১৪ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে ৬০ দিনের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ব নন ইসর য় ল আহত ইসর য় ল র ল ব নন র ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ