Risingbd:
2025-03-03@20:06:25 GMT

যেভাবে আদা খেলে ব্রণ দূর হয়

Published: 29th, January 2025 GMT

যেভাবে আদা খেলে ব্রণ দূর হয়

আদার গুণের অভাব নেই। গলা খুশখুশ করলে আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। মাথাব্যথা কমাতে পারে আদার রস। আদা চা পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, ব্রণও দূর করতে পারে আদার রস। কারণ আদার রসে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী হরমোণগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালীন একটি সমস্যা। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সে নারী ও পুরুষদের ব্রণের সমস্যা দেখা যেতে পারে। ব্রণের সমস্যায় চিন্তিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই।

ব্রণ কেন হয়? কখনও লিভারের জমে থাকা টক্সিন, আবার কখনও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ব্রণের জন্য দায়ী। এ ছাড়া জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদির কারণেও ব্রণ হতে পারে। ব্রণ থেকে বাঁচার প্রথম শর্ত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এ ছাড়া ব্রণের সমস্যা কমাতে আপনি আদার সাহায্য নিতে পারেন। আদার রস খেলে ত্বকের সমস্যা কমাতে পারবেন।

আদা যে উপায়ে ব্রণর সমস্যা কমায়: আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ রয়েছে। যা ত্বকের প্রদাহ, জ্বালা ভাব কমাতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে জিঞ্জেরল রয়েছে। এতে থাকা বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগই ব্রণ-প্রবণ ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আদার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আদা হজমজনিত সমস্যা দূর করে। লিভারে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। এর ফলে পেটের সমস্যার জন্য যদি ব্রণ হয়, সেটাও কমে যাবে আদার রস খেয়ে। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। আদায় থাকে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং কর্টিসল হরমোন (স্ট্রেস হরমোন)-এর মাত্রা কমায়। এতে ত্বকে ব্রণর সমস্যা কমে যায়। অন্যদিকে, আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ব্রণর হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। 

আরো পড়ুন:

লাল টুকটুকে অপুর নজরকাড়া কয়েকটি লুক

পাঁচ মিনিটে মেকআপ করার উপায়

কীভাবে খাবেন: দুই ইঞ্চি পরিমাণ আদা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর মিক্সিতে আদা পেস্ট করে এর রস বের করে নিন। তারপর আদার রসে ২-৩ চামচ পানি, ১ চামচ লেবুর রস, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এই আদার রস পান করুন। এতেই ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমবে।

সূত্র: এই সময় 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

কখনও বলিনি আমি আর অভিনয় করব না: নাঈম

নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম। তবে এখন অভিনয়ে নেই। নানা ইস্যুতে আছেন আলোচনায়। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় ‘চাচা, হেনা কোথায়?’  সংলাপটি কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ সংলাপকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। সংলাপ ও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন

কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। নিজের মানসম্মান নিয়ে বেঁচে আছি। সবাই আমাকে এবং আমার পরিবারকে ভালোবাসে। এ ভালোবাসা নিয়েই জীবন চলে যাচ্ছে। 

হঠাৎ করে ভাইরাল হলো ‘‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সংলাপটি, এটার সঙ্গে তো আপনিও আলোচনায় এলেন...
দেখুন, ফিল্ম অনেক বড় বিষয়। প্রায় তিন দশক আগেও একটি সিনেমার ডায়ালগ নিয়ে মানুষ এখনও আলোচনা করছে। ‘চাচা, হেনা কোথায়? তার একটি দৃষ্টান্ত। গত এক মাস হলো আমি শুধু দেখছি, কীভাবে এটা পুরো দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। এটার দ্বারা প্রমাণ হয়, ভালো সিনেমা, ভালো সংলাপ ও ভালো শিল্পী কতটা দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী বাপ্পারাজ-শাবনাজসহ পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই। শাবনাজ যেহেতু এখন আমার জীবনসঙ্গী। সেই সূত্র ধরেই হয়তো আলোচনায়।

বাপ্পারাজ-শাবনাজ জুটি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
এটা তো পুরো দেশের মানুষের জানা। বাপ্পারাজের মতো অভিনেতা পাওয়া কঠিন। আমার স্ত্রী হিসেবে বলব না, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমাসহ সব সময়ই ও ভালো অভিনয় করেছে। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তারা দু’জনই এককথায় অসাধারণ অভিনয়শিল্পী। 

দর্শক তো এখনও আপনাকে অভিনয়ে চায়। অভিনয়ে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আছে?
সেটা নির্ভর করবে নির্মাতা ও প্রযোজকের ওপর। তারা যদি আমার ইমেজ, স্টাইল ও প্রেজেন্টেশন নিয়ে ভেবে গল্প বানান আর আমার যদি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই করব। একটা সময় আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। তবে আমি কখনও বলিনি যে, আমি অভিনয় করব না কিংবা সিনেমা নির্মাণ করব না। এখনও আমার ইচ্ছে করে ভালো গল্প নিয়ে একটা সিনেমা বানাব। সিনেমা তো আমার ভেতরে। আমি তো কাজ করতে চাই। ক্যামেরার পেছনে বা সামনে; একটা সময় অবশ্যই আমি করব। তবে সময়টা বলতে পারছি না। 

আমাদের সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কী? 
অনেক ধরনের মানুষ নিয়ে একটা সিনেমা বানাতে হয়। এখানে নির্মাতা, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ অনেক বিষয় মাথায় রেখে চিন্তা করতে হয়। একটা  ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে কীভাবে; এটা নিয়ে আমার একটা চিন্তা থাকতে পারে। আমার একার উদ্যোগ বা চিন্তা দিয়ে হবে না। এ ক্ষেত্রে সবার সমান প্রচেষ্টা থাকতে হবে। তা হলে একটা ইন্ডাস্ট্রি আপনা আপনিই এগিয়ে যাবে।

আপনি তো সাংস্কৃতিক পরিবারের ছেলে...
হ্যাঁ, আমি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। উপমহাদেশে ১৯৩৮ সালে কিন্তু ঢাকার নবাব পরিবার থেকেই প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। তখন আমাদের পরিবার থেকেই ছিল নির্মাতা, নায়ক ও ক্যামেরাম্যান। অর্থাৎ আমি যে পরিবারে বড় হয়েছি, এটা ছিল একটা সাংস্কৃতিকমনা পরিবার।

সিনেমা হল সংকট নিয়ে কী বলবেন?
আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে তো দর্শক সিনেমা হলে আসবে। ভালো সিনেমা না বানিয়ে দর্শকদের বলব আপনারা হলে আসছেন না কেন? এটা তো ঠিক না। আগে আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে দর্শক সিনেমা হলে আসবে। হল এমনিতে বাড়বে। এখানে সবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কারও একার প্রচেষ্টায় হবে না।

সিনেমার স্বর্ণযুগ কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। ‘না’ বলে আমার কাছে কথা নেই। তবে টাইম লাগে। সবাই মিলে একযোগ হয়ে যদি একটা প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সব সম্ভব।

ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অনেকেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন কিন্তু আপনি গ্রামে চলে গেলেন কেন?
ঢাকায় আমার দাদার বাড়ি আর টাঙ্গাইল নানার বাড়ি। ছোটবেলা থেকে নানার বাড়িতেই আমি বড় হয়েছি। গ্রামের মাটির সঙ্গে তো প্রতিটা মানুষ জড়িত। আমরা বিভিন্ন বিভাগের মানুষ। কর্মজীবনে আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে আমরা কীভাবে বাড়ি চলে যায়! তো কোনো সময় আমি চিন্তাও করিনি যে বিদেশে স্থায়ী হবো। সব সময় ভেবেছি, এ দেশেতে আমার জন্ম, এ দেশের মাটিতে যেন আমার মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঘুমের ভেতর পায়ে অস্থিরতা
  • নানার ৫শ টাকা নেওয়ায় বকুনি, অভিমানে লুকানো শিহাব মারা গেল বস্তাচাপায়
  • স্ত্রী-শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বর্ণালংকার-ফোন নিয়ে লাপাত্তা সামিউল
  • কেন মেয়ের সব ছবি মুছে ফেললেন আলিয়া
  • ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারেন ট্রাম্প
  • কখনও বলিনি আমি আর অভিনয় করব না: নাঈম
  • ‘যদি’ ‘কিন্তু’ ‘অথবা’ ছাড়াই ভুল সংশোধন করে নেব: হাসনাত আবদুল্লাহ