চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়াসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয়– এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করতে সিআইডির চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
 
মনসুর আলম মুন্না নামের এক সাংবাদিকের করা মামলা আমলে নিয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আখতার জাবেদ সোমবার এ নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে আদালত তদন্ত চলাকালে চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার মারাত্মক নেতিবাচক কার্যকলাপ সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করতে নির্দেশনা দেন। মামলায় অভিযুক্ত অন্য কর্মকর্তারা হলেন চকরিয়া থানার এসআই ফরহাদ রাব্বি ওরফে ঈশান, এসআই সোহরাব সাকিব ও এএসআই পারভেজ।

বাদী মনসুর আলম মুন্না ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের কক্সবাজার প্রতিনিধি। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে কক্সবাজার শহরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ অফিস থেকে সাদা পোশাকধারী চার পুলিশ সদস্য মুন্নাকে অপহরণ করে। এ সময় মুন্নার চোখ কাপড় দিয়ে বন্ধ করে ফেলা হয়। তাঁকে চকরিয়া থানায় নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানার জন্য ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়াকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সাড়া দেননি। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী ড.

সালাহ উদ্দিন আহমদ সমকালকে বলেন, সাংবাদিককে তুলে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে নির্মম নির্যাতন ও চাঁদা দাবি করা চাকরিবিধি ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মনজ র ক দ র ভ তদন ত চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই

চট্টগ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে মারধর এবং মুঠোফোন ও ওয়াকিটকি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তাফসীর ইমাম ও মো. সাইমন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গা থানার টহল টিমের দায়িত্বে থাকা এসআই ইউসুফ আলীর চোখে পড়ে চরপাড়াঘাট এলাকায় কিছু স্থানীয় যুবক মাদক (গাঁজা) সেবন করছেন। এসআই ইউসুফ আলী সেখানে গিয়ে যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবকেরা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। এসআই ইউসুফ আলী তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেন।

আধা ঘণ্টা পর বেশ কিছু লোককে সঙ্গে নিয়ে পতেঙ্গা সৈকতে ফিরে আসেন ভুল স্বীকার করা দুই যুবক। এই সময় এসআই ইউসুফ আলী তাঁর সঙ্গে থাকা টহল গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। যুবকেরা এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তো ভুয়া পুলিশ। আপনার আইডি কার্ড কই?’ এরপর মুহূর্তের মধ্যেই এসআই ইউসুফ আলীর ওপর আক্রমণ শুরু করেন। এলোপাতাড়ি মারধর করা হয় তাঁকে। ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ওয়াকিটকি সেট, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পতেঙ্গা থানার পুলিশ এসআই ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে পতেঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে এসআই ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি, মুঠোফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। তারা বখাটে প্রকৃতির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
  • মব তৈরি করে এসআইকে হেনস্থা, গ্রেপ্তার আরও ১০
  • পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশের এস আইয়ের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১০ 
  • চট্টগ্রামে এসআইর ওপর হামলা, দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
  • ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে এসআইকে মারধর, ওয়াকিটকি ছিনতাই