ভোলায় বাস শ্রমিকদের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচটি অটোরিকশা ও দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

সংঘর্ষের ঘটনায় বাস শ্রমিক ও অটোরিকশাচালকরা একে অপরকে দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। 

বাস মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সেলিম বলেন, পৌর সভার নির্দেশ অনুযায়ী অটোরিকশা মালিকদের আমরা বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশা সরিয়ে নিতে বলেছি। এ কারণে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বাসে আগুন দেয়। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার না করা পর্যন্ত জেলা অভ্যন্তরীণ রুটে সব বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

অটোরিকশা ও হালকা যান শ্রমিক সমিতির সভাপতি মাকসুদুর রহমান বলেন, উচ্ছেদের কোনো নোটিশ না দিয়ে বাস শ্রমিকরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। অটোরিকশায় আগুন দিয়েছে। তাদের হামলায় ১৫ অটোরিকশাচালক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন ভোলা সদর হাসপাতাল ও  একজন বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সরকার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কতজন আহত হয়েছেন আমরা এখনও নিরূপণ করতে পারিনি। তালিকা হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ