Samakal:
2025-03-03@20:08:23 GMT

পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব

Published: 29th, January 2025 GMT

পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব

‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে’ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ছোট নদী নামে পরিচিত নাগর নদে চাক জাল ও পলো দিয়ে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও সিংড়ার ১৫-১৬ গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণে খরসতি, সারদানগর ও নওগাঁর আত্রাই সীমান্তে মঙ্গলবার এ আয়োজন করা হয়। মাছ ধরা শেষে আনন্দ করতে করতেই বড়দের সঙ্গে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরে শিশুরাও।

কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব আগের মতো জাঁকজমক না হলেও গান ও হৈ-হুল্লোড় কোনো কমতি ছিল না। উৎসব দেখতে ভিড়ে করেন উৎসুক জনতা।

মাছ ধরা উৎসবের দলনেতা কাদিরগাছা গ্রামের শাহাদত হোসেন বলেন, সবাই মিলে মাছ ধরতে নেমেছি। কেউ মাছ পেলে তার বাড়িতে
খবর পৌঁছে যাচ্ছে। রবি-বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান রোপণ শেষে এই নদে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়। প্রায় মাসব্যাপী এলাকায় এ উৎসব চলে। এ বছর প্রশাসনের তৎপরতায় নদী-নালা, খাল-বিল উন্মুক্ত থাকায় মৎস্য শিকারিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

তাজপুর গ্রামের সুনিল কুমার শীল বলেন, পাঁচটি বোয়াল মাছ পেয়েছি। আশা করছি, আরও মাছ ধরতে পারবো। শীতের মধ্যে পানিতে নামা কষ্ট, কিন্তু এখন কোনো কষ্ট মনে হচ্ছে না।

জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র নয়ন বলে, বিদ্যালয় ছুটি থাকায় এলাকার মানুষের সঙ্গে দলবেঁধে মাছ ধরার উৎসবে এসেছি।
মাছ আমাকে ফাঁকি দিতে পারিনি। দুইটা বোয়াল ধরা দিয়েছে চাকে।

চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের তৎপরতায় চলনবিলের নদ-নদী ও খাল-বিল উন্মুক্ত থাকায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ও বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ দেশীয় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’

মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।

‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।

নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।

১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্কার: সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • সেরা সিনেমা ‘আনোরা’
  • টিএসসিতে সংগীত উৎসব
  • কুষ্টিয়া অঞ্চলে আবার মাথা তুলছে চরমপন্থিরা
  • রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল
  • মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
  • ঢাকা মহানগরে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে ডিবি