অতীতের নির্বাচনগুলো বাজে ও বিতর্কিত হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আমরা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছি। আমার এ কথা যে সঠিক তা আমাদের সন্তানরা রক্ত দিয়ে বলে গেছে। এমন নির্বাচনের সঙ্গে সবার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। আগামীর নির্বাচন তাই সবার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের নির্বাচন।

মঙ্গলবার দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের কাজ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের অধীনে থেকে রাষ্ট্রের সব কর্তৃপক্ষ এ নির্বাচন করে। যদি একটি নির্বাচন খারাপ হয়, বিতর্কিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই আসুন, সবাই একতাবদ্ধভাবে নিরপেক্ষ, নির্মোহভাবে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন উপহার দিই। যে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হাসিমুখে বিজয়ীকে অভিনন্দন জানাতে পারবেন। তিনি জানবেন, এখানে ভোটাররা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নেয়নি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ