পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনে তিতুমীর শিক্ষার্থীরা
Published: 28th, January 2025 GMT
আন্দোলনরত অন্য সাত কলেজের সঙ্গে নয়, নিজেদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ দাবিতে তারা এখন ‘শাটডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন। দাবি না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি কলেজ ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা টানিয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর পর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। গত সোমবার রাতে সভা করে গতকাল মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে। সে সঙ্গে ভিসি ও প্রোভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে।
তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বলেন, গত সোমবার সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ মুহূর্তে আমাদের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। আর এই দাবি না মানলে বৃহস্পতিবার থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করব।
এদিকে আগামী শুক্রবার থেকে টঙ্গীতে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ধর্মপ্রাণ লাখো মুসল্লি সারাদেশ থেকে রাজধানী ও টঙ্গীতে আসবেন। বৃহস্পতিবার মহাখালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মহাসড়ক ও রেলপথ
অবরোধ থাকলে হাজারো মানুষ বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিতুমীর ঐক্যের সংগঠক গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমরা কাউকে বিপাকে ফেলতে নয়, আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণে আন্দোলন করছি। আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছি সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে। এ সময়ের মধ্যে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা না হলে বৃহস্পতিবার মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করব।
তিনি বলেন, তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন তিতুমীর কর্মসূচি পালন চলবে।
এর আগে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গত ৩ ডিসেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটি এখনও কোনো প্রতিবেদন দেয়নি।
পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত ১৯ নভেম্বর সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজডাউন তিতুমীর’ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তার আগের দিন সকালে মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ করেছিলেন। পরে বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ত ম র কল জ কল জ র অবর ধ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।
বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।
নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।