Samakal:
2025-03-03@20:11:32 GMT

যত্নে থাকুক শখের চুড়ি

Published: 28th, January 2025 GMT

যত্নে থাকুক শখের চুড়ি

‘চুড়ি দিও গো মোরে শ্যাম, রাঙা চুড়ি দিও গো।
তোমার রাঙা চরণে সেথা বাজবে রাঙা রূপকথা’– কাজী নজরুল ইসলাম
দু’হাত ভর্তি চুড়ির রিনিঝিনি আওয়াজ যেন বাঙালি নারীর হৃদয়াবেগেরই প্রতিধ্বনি। শখের চুড়ির ভাঙা টুকরোগুলোও নারীরা গভীর মমতায় যত্নে রেখে দেন। চুড়ি শুধু অলংকার নয়, এটি নারী হৃদয়ের আবেগ, ভালোবাসা আর স্মৃতির আধার। আধুনিকতার ছোঁয়ায় জীবন যান্ত্রিক হলেও বাংলার নারীর কাছে চুড়ির কদর এক বিন্দুও কমেনি। সাজগোজ শেষে দু’হাত ভর্তি চুড়ি না পরলে সাজটাই যেন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। 
আধুনিক নারীর কাছে এখনও সবচেয়ে প্রিয় অলংকার হিসেবে কাচের চুড়িই সমাদৃত। যান্ত্রিকতা যেন এ আবেগকে একটুও কেড়ে নিতে পারেনি। চুড়ির দাম যেমনই হোক, প্রিয়জনের দেওয়া একগুচ্ছ কাচের চুড়িতেই যেন ভালোবাসা লেপ্টে থাকে আর নারীরা এ ভালোবাসার উপহার সযতনে রেখে দেন। 
বর্তমান যুগে ফ্যাশনসচেতন শৌখিন নারীর প্রবল আগ্রহ বাড়ছে নান্দনিকতায়। তাই তো কাচের চুড়িতে বাহারি রং আর ডিজাইনে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে নান্দনিকতার ছোঁয়া । 
কালের স্রোতে বয়ে চলা রেশমি চুড়ি, জয়পুরি চুড়ি, ঢাকাই চুড়ির পাশাপাশি সমানভাবে স্থান করে নিয়েছে চৌকো, ত্রিকোণ, ডিম্বাকৃতির প্লাস্টিক ও মেটাল চুড়ি। কাঠ, সুতা, মাটি, রাবার, পুঁতি, পাথর, সিটি গোল্ডসহ বিভিন্ন ধরনের চুড়িও বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। 
শৌখিন নারীরা এখন শাড়ির পাশাপাশি ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, লং স্কার্ট এবং ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও সামঞ্জস্য রেখে চুড়ি পরেন। শখের চুড়িগুলো যাতে সযতনে অনেক দিন থেকে যায় সে জন্য জানা প্রয়োজন কীভাবে আপনার শখের চুড়িগুলো যত্নে রাখবেন। 
চলুন জেনে নিই কীভাবে যত্নে থাকবে শখের চুড়ি।
ব্যবহারের পর বাতাসে উন্মুক্ত করে রাখুন: যে কোনো ধরনের চুড়ি ব্যবহারের পর বাড়িতে এসে সুতির নরম কাপড় দিয়ে মুছে বাতাসে উন্মুক্ত করে রাখুন। এতে চুড়িতে লেগে থাকা ঘাম শুকিয়ে যাবে এবং চুড়ির ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকবে। 
যে কোনো চুড়ি সংরক্ষণের উপায়: বাঙালি নারীর শখের চুড়ি সংরক্ষণের জন্য চুড়ির আলনা আবহমানকাল ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানের আধুনিক যুগে চুড়ি সংরক্ষণের জন্য নারীরা ব্যবহার করেন বাহারি ডিজাইনের চুড়ির বাক্স বা কৌটা। যেখানে যত্নে থাকে শখের চুড়িগুলো। 
মেটাল ও পাথরের চুড়ি সংরক্ষণের উপায়: সংরক্ষণের জন্য পরিষ্কার নরম সুতি কাপড়ে চুড়িগুলো মুড়িয়ে রাখুন। 
চুড়িগুলো আলাদা করে রাখুন: চুড়িগুলো একসঙ্গে রাখলে ঘষা লেগে স্ক্র্যাচ পড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের চুড়ি আলাদা আলাদা কৌটায় বা বাক্সে রাখুন। যদি কাচের বা মেটালের চুড়ি হয়, সেগুলো নরম কাপড়ে মোড়ানো উচিত।
শুকনো জায়গায় রাখুন: চুড়ি সংরক্ষণের জায়গা শুকনো ও ঠান্ডা হওয়া উচিত। মনে রাখবেন, আর্দ্রতা মেটালের চুড়ির ক্ষতি করতে পারে এবং কাচের চুড়ি সহজেই ভেঙে যেতে পারে।
অ্যান্টি-টার্নিশ পেপার ব্যবহার করুন: ধাতব চুড়ির রং নষ্ট হওয়া ঠেকাতে অ্যান্টি-টার্নিশ পেপারে মুড়ে রাখুন।
কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখুন: চুড়ি ব্যবহারের সময় পারফিউম, লোশন, সাবান বা অন্য কেমিক্যাল থেকে দূরে রাখুন। এগুলোর প্রভাবে চুড়ির রং বা গ্লসিভাব নষ্ট হতে পারে।
খেলাধুলা, সুইমিং বা ভারী কাজের সময় খুলে রাখুন: ভারী কাজ বা খেলাধুলা এবং সুইমিং করার সময় চুড়ি পরা থেকে বিরত থাকুন। এতে চুড়ি ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতির ঝুঁকি বেশি। 
নিয়মিত পরিষ্কার করুন: কাচের চুড়ি নরম কাপড় দিয়ে মুছে উজ্জ্বল রাখতে পারেন। ধাতব চুড়ি পরিষ্কার করার জন্য নির্দিষ্ট পলিশ ব্যবহার করুন।
ভ্রমণের সময় সতর্ক থাকুন: ভ্রমণের সময় চুড়ি একটি সেফটি কেসে বা বাক্সে রাখুন। 
এ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার শখের চুড়িগুলো দীর্ঘদিন পর্যন্ত নতুনের 
মতো থাকবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য র কর ন র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ