চারটি স্মার্টফোনের মডেল উন্মোচন করেছে দেশে আসা নতুন প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইউমিডিজি। বাজেটবান্ধব ফিচারে সবকটি মডেল মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে থাকবে বলে ব্র্যান্ড সূত্রে জানানো হয়।
জানা গেছে, ফাইভজি সমর্থন করবে ‘জি-নাইন’ মডেল। ফাইভজি ঘরানার মডেলে আছে ১২ জিবি র‌্যাম (৬ জিবি ভার্চুয়াল র‌্যাম) ও ১২৮ জিবি স্টোরেজ অ্যান্ড্রয়েড ১৪ সংস্করণ, স্লিম ডিজাইন (৭.

৯ মিমি), ব্যাটারি ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার, ফাস্ট চার্জার ও ৯০ হার্টজ ডিসপ্লে। বিশেষ ফিচার এআই ক্যামেরা। 
অন্য তিনটি মডেল যথাক্রমে জি-নাইন সিরিজের সি, টি এবং জি-নাইন-এ মডেল।
ইউমিডিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝোউ বলেন, আমরা এমন স্মার্টফোন ডিজাইন করেছি, যা মধ্যম বাজেটের গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
আসছে ঈদুল ফিতরের আগেই আরও কয়েকটি মডেল উন্মোচনের পরিকল্পনা আছে। সম্ভাব্য দুটি মডেল হলো যথাক্রমে ১০০ নোট ও নোট এআই। নতুন আসা চারটি স্মার্টফোনের দাম মডেলভেদে ৯ থেকে ১৪ হাজার টাকার ভেতরে। ইউমিডিজি বাংলাদেশের সেলস অ্যান্ড অপারেশন হেড মাসুদুর রহমান বলেন, আগামী পাঁচ বছর হবে বাংলাদেশ হ্যান্ডসেট বাজারের আলোচিত সময়। ব্র্যান্ডের গ্রাহককে পরিষেবা দিতে সারাদেশে ১২টি সার্ভিস সেন্টার ও ১০টি কালেকশন পয়েন্ট থাকবে।
সময়ের বাজেটবান্ধব চাহিদা পূরণে ছয়টি নতুন মডেল বাংলাদেশের বাজারে অবমুক্তের ঘোষণা দিয়েছে ব্র্যান্ডটি। সূচনা যাত্রায় চারটি মডেলের দাম ঘোষণা করা হয়। সে অর্থে বাংলাদেশের বাজারে যুক্ত হলো আরেকটি চীনা প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। বাজারে নতুন ব্র্যান্ড আসায় প্রতিযোগিতা বাড়বে, তাতে ভোক্তারাই বেশি উপকৃত হয়ে থাকেন বলে বাজার গবেষকরা মন্তব্য করেছেন। নতুন আসা ব্র্যান্ডটি প্রতিযোগিতার বাজারে বাজেটবান্ধব স্মার্টফোন কতটা গ্রাহকপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ