কুমিল্লায় চোরকে ধরতে গিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে সরকারি কলেজ রোডে এ ঘটনা ঘটে। মৃত কনস্টেবলের নাম মহিউদ্দিন (৫৯)। তিনি পাশের মুরাদনগর উপজেলার গাইডুলি গ্রামের সাঈদুর রহমানের ছেলে। চলতি বছরেই তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামস্ উদ্দিন মো.

ইলিয়াস।
 
তিনি জানান, দেবিদ্বার উপজেলার বারুর এলাকায় চুরির ঘটনায় রুবেল মিয়া নামের এক চোরকে স্থানীয় লোকজন আটকের পর মারধর করে। পরে রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। থানায় আনার পর অসুস্থতা বিবেচনায় রুবেলকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে গেটে একটি অটোরিকশা থেকে রুবেলকে নামানোর সময় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে ধরতে পুলিশ সদস্য মহিউদ্দিনসহ অন্যরা পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন রাস্তায় পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইব্রাহিম জানান, ওই পুলিশ সদস্যকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়। তিনি স্টোক করে  মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ