‍‍‍‘প্রথমবার চেক বাউন্স হল, এত কিছু হল, তবুও মানা যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন এরকম কিছু হল তখন বিষয়টা আমাদের জন্য লজ্জার। সবাই জিজ্ঞেষ করে টাকা পাইছি কী না’-রাইজিংবিডিকে দুর্বার রাজশাহীর এক ক্রিকেটার এভাবে বলছিলেন।

দলটির রাউন্ড রবিন লিগের সব খেলা শেষ। প্লে অফের অপেক্ষায় থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুঝে পাননি পদ্মা পাড়ের দলটির ক্রিকেটাররা। দেশি বিদেশি সবার অবস্থা একই। চেক বাউন্সের তালিকায় যুক্ত হয়েছে চিটাগং কিংসও।

পাওনা ইস্যুতে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কটে জটিলতা শুরু। সেবার কোনোমতে সামাল দেয় পরিস্থিতি। কিন্তু বিদেশিরা ম্যাচ বয়কট করায় বিপিএলের ইতিহাসে লাগে নতুন কালিমা। নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে মুখে মুখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও আদতে নতুন কিছু নেই।

আরো পড়ুন:

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া পুত্রকে ১৫.

৮ লাখ টাকা দিলো বিসিবি 

জটিলতা কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ 

মঙ্গলবার সাত ফ্র‍্যাঞ্চাইজিকে  ডাকে বোর্ড। পাওনা পরিশোধ ব্যর্থ চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী ছাড়া বাকি সকলে ছিলেন উপস্থিত। সবার সঙ্গে কথা বলে বার্তা দিয়েছে বোর্ড। এদিকে বিপিএলে এই দুর্নামের দায়ভার নিয়েছে বিসিবি। নজরদারিতে রাখা হচ্ছে সাত ফ্র‍্যাঞ্চাইজিকে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। নিজদের কাধে দায়ভার নিয়ে ফাহিম বলেন, “বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য যতটা সময় প্রয়োজন ছিল, আমাদের হাতে ছিল না। সবারই এটা মানতে হবে। একেবারে শুরুতে আদৌ আমরা করতে পারব কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত করা গেছে, এটা এক দিক থেকে ভালো। তবে করতে গিয়ে যতটা প্রস্তুতি দরকার ছিল বা খুঁটিনাটি জিনিস দেখা দরকার ছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। সেই ব্যর্থতা আমাদের। তবে যেই সময়ে আমাদের টুর্নামেন্টটা করতে হয়েছে, আশা করি সেটাও সবাই মনে রাখবেন। তবে আমাদের ব্যর্থতা তো আছেই। এড়ানোর সুযোগ নেই।”

“আস্থা কিছুটা কম বলেই, এখন আমরা প্রতি মুহূর্তে তাদের নজরদারিতে রাখছি। প্রতিশ্রুতি যদি মোটামুটি রাখতেন তারা, তাহলে এত বেশি উদ্বিগ্ন হতে হতো না। তবে এখন থেকে নিয়মিত নজরে রাখব আমরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করছে কিনা, সেটি দেখব আমরা।”

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক কারবারি আটক

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে ছয় কেজি হেরোইন, নগদ ১৩ লাখ টাকাসহ শীর্ষ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তিরিন্দা ভাজানপুর এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিস অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। জব্দ হেরোইনের দাম প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

বিকেলে নগরীর লিলি হলের মোড় এলাকায় সংস্থাটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম এসব তথ্য জানান। আটক তারেক হোসেন (৩৬) জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারেককে আটক করা হয়েছে। তার কাছে সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে বাদামি বর্ণের আটটি পলি প্যাকেটে ৫০০ গ্রাম করে চার কেজি এবং একই বস্তায় ২৫টি প্যাকেটে ১০০ গ্রাম করে আরও আড়াই কেজি হেরোইন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার কাছে মাদক বিক্রির ১৩ লাখ টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রিক সিল মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গম ও ভুট্টার বস্তার আড়ালে এগুলো লুকানো ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. গোলাম আজম বলেন, বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের টিম তাকে আটক করে। পরে সে মাদকের কথা স্বীকার করে। তিনি জানান, অধিদপ্তরের ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ হেরোইন চালান এটি। আটক তারেক হেরোইন চোরাচালানের গডফাদার। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। চক্রের অন্য হোতাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

সংবাদ সম্মেলনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা অফিসের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান বলেন, আটক তারেক আমাদের নজরদারিতে ছিল। আমাদের তৎপরতায় সে আটক হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করা হবে: খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্ট
  • রিকশায় ফাঁদ পেতে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই, চালকের জবানবন্দি
  • নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের কার্যক্রম বয়কটের ডাক একাংশের
  • সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক কারবারি আটক