চার বিচারক ছুটিতে, পঞ্চগড় আদালতের বিচারকাজ ব্যাহত
Published: 28th, January 2025 GMT
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ ও আদালত ঘেরাও কর্মসূচির পর আদালত অঙ্গনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে বিচারকাজ থেকে বিরত রয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের চার বিচারক। এতে দু’দিন ধরে আদালতের স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অন্য আদালতগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও আগের কর্মচাঞ্চল্য নেই।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকা চার বিচারকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে জিএ (জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কমিটির বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই চার বিচারককে অন্যত্র বদলি করা হবে। তাদের বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত সূত্র জানায়, জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ পঞ্চগড়ের বিভিন্ন আদালতে ১৭ জন বিচারক রয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারক চার দিনের ছুটি নেন। তবে বিচারকাজ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম রেজাউল বারীকে বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি গত সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করলেও আজ কোনো জামিন শুনানি করেননি। এতে আদালতের স্বাভাবিক বিচারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় আইনজীবীরা।
জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জমিরুল ইসলাম বলেন, আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক চলছে।
জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আহসান হাবিব বলেন, আদালতে বিচারকাজের স্বাভাবিক গতি নেই। চার বিচারক ছুটিতে আছেন। অন্য বিচারকরা আদালত পরিচালনা করছেন। কিন্তু অনেক বিচারপ্রার্থী আদালতে এসে মামলা শুনানির নতুন তারিখ নিয়ে ঘুরে গেছেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আদম সুফি বলেন, বিচারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। চার বিচারককে বদলি করা হবে, না তারাই কাজে যোগ দেবেন বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের জন্য সবাই অপেক্ষা করছেন।
জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ওই দিনই বিক্ষোভে যুক্ত হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তখন বিক্ষোভের মুখে নিয়োগ কমিটির পক্ষ থেকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
নাটোরের লালপুরে আইনজীবী সাধন কুমার দাসের (৪২) বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন পরিবারের তিন সদস্য। বুধবার রাত ১২টার পর লালপুর সদর ইউনিয়নের চকবাদেকুলপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
ডাকাতরা বাড়ির পেছনের গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সাধন কুমার দাসের ভাতিজা রিপন কুমার দাস (৩৫) এবং রিপনের স্ত্রী সুমী রানীকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং লুট করা হয় প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
আহতদের মধ্যে সাধন কুমার দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদের হাতে ছিল রাম দা, চায়নিজ কুড়াল এবং হাঁসুয়া। তারা পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে, এরপর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিতে অস্বীকৃতি জানালে কুপিয়ে জখম করে।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান জানান, রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।