ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের জন্য পাঁচটি গ্রেডে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকেরা। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় অবস্থিত চামড়াশিল্প নগরের বিভিন্ন ট্যানারির শ্রমিকেরা এসকল কর্মসূচি পালন করেন। 

এদিন সকাল ১০টার দিকে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ব্যানারে বিভিন্ন ট্যানারির শতাধিক শ্রমিক। পরে তারা সেখানে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। 

বিক্ষোভকারীরা জানান, বিভিন্ন সেক্টরে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার পর ইতিমধ্যে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের জন্য পাঁচটি গ্রেডে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি এখনো বাস্তবায়ন করেনি মালিকপক্ষ। নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এসব কর্মসূচি পালন করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শ্রমিক মো.

মামুন বলেন, “নভেম্বরের ২১ তারিখে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা চাই না ট্যানারি মালিক ও শ্রমিকেরা মুখোমুখি হয়ে যাক। শান্তিপূর্নভাবে দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলন করছি, করব। পাঁচটি গ্রেডে যেভাবে বেতন ঘোষণা করা আছে, আমরা সেভাবে বেতন চাই। মালিকেরা আলোচনা করে কোন সমাধান না দিয়ে বেতন কম দেয়ার চেষ্টা করছেন। দাবি পূরণ না হলে সামনে আরো বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করব।” 

আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শ্রমিক শান্তি খাতুন বলেন, “আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছি। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই ছাড়ব।” 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, “মজুরি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে বিটিএ, বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সেপোর্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইএ) এবং ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। গত রোববার (বিএফএলএলএফইএ) এর উপদেষ্টা অসুস্থ থাকায় সবার সম্মতিতে পরবর্তীতে একটি তারিখ নির্ধারণ করে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এরমধ্যেই কোন নোটিশ না দিয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন এসকল কর্মসূচি পালন করলেন।”

ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ট্যানারি শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করা হলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এটি বাস্তবায়নের দাবিতে গত ২২ তারিখ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ওই সময়ে শুধুমাত্র টিফিনের সময় ট্যানারির ফটকে শ্রমিকেরা অবস্থান নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন।” 

তিনি আরও বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি এখন বাস্তবায়ন করতে হবে এখানে কোনটি মানা হবে, মানা হবে না, কমবেশি করা হবে এমন আলোচনার কোন সুযোগ নেই। মালিকপক্ষ বিষয়টিকে গূরুত্ব না দেওয়ায় আজ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এরপরও মালিকপক্ষ যদি সকরকারের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না করেন তবে ওভার টাইম না করার যে সিদ্ধান্ত রয়েছে সেটি কার্যকর করা হবে।”

ঢাকা/আরিফ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিফলে বিজয়ের সেঞ্চুরি, মোহামেডানকে জেতালেন ‘বিতর্কিত’ হৃদয় 

সেই পুরনো বৃত্তে ডিপিএল আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। অথচ অজানা কারণে কমিয়ে দেওয়া হয় তার নিষেধাজ্ঞা। কীভাবে নিষেধাজ্ঞা কমল তা নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। 

‘বিতর্কিত’ ওই হৃদয় এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ডিপিএলের সুপার লিগে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। দিনের অন্য ম্যাচে গাজী গ্রুপের এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করলেও ১০ রানের জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। 

বুধবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরুতে ব্যাট করে ৪৭.৪ ওভারে ২২৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় গুলশান। দলটির লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার শাকিল হোসেন ৫৭ রান করেন। জবাবে মোহামেডান ৪৬.৪ ওভারে জয় তুলে নেয়। চারে নেমে হৃদয় ৮৫ বলে ৬২ রান করেন। রিয়াদ ১০৩ বলে ৭১ রান করে আউট হন। আরিফুল ২৫ রান করে ম্যাচ জেতান।

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী ১৬ বল থাকতে ২৪৯ রান করে অলআউট হয়। দলটির ওপেনার শাহরিয়ার কমল ১০০ বল খেলে ৯৫ রান করেন। পারভেজ ইমন ও মিডলে মেহরব হোসেন ৪৫ করে রান যোগ করেন। জবাব দিতে নেমে এনামুল হক বিজয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ৫১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি খেলেন ১১৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। 

দলের অন্যরা ব্যর্থ হওয়ায় হেরেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজী গ্রুপের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শামসুর রহমান ২৭ রান যোগ করেন। তাদের ধসিয়ে দিতে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩টি এবং রিপন মন্ডল ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ