সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কর্মচারী ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবনের নিচতলায়  শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী পালন করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী ও  ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকার প্রায় ২ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড.

মো. জসিম উদ্দিন, কৌলিবিজ্ঞান ও প্রাণী প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মর্তুজা সেলিম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহমুদুর রহমান, আল হোসাইন প্রমুখ।

এ সময় অধ্যাপক ড. মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, “এমন সুন্দর একটি সমাজসেবা মূলক কার্যক্রমের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আগামীতেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে তারা কাজ করে যাবে।”

এর আগেও সিকৃবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দুইবার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ তবস ত র ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ