ঘরে ঢুকে কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা, মাকে জখম
Published: 28th, January 2025 GMT
নরসিংদীতে ঘরে ঢুকে এক কিশোরীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর জখম করা হয়েছে কিশোরীর মাকে। সোমবার রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার শেখেরচর-বাবুরহাট বাজারসংলগ্ন চা দোকানি মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমনা আক্তার তিথি (১৩) মোফাজ্জলের মেয়ে এবং আহত আসমা বেগম (৪০) তাঁর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই বাসায় স্ত্রী, মেয়ে তিথি ও চার বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মোফাজ্জল। সোমবার রাত ১১টার দিকে মোফাজ্জল দোকান থেকে বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রতিবন্ধী শিশুসন্তানকে অক্ষত অবস্থায় পান বাথরুমে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্ত্রী ও মেয়েকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিথিকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আসমা বেগমকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ছোট বাড়িটির নিচতলায় কাপড়ের দোকানের গোডাউন। দোতলায় আমরা থাকি। মেয়ে তিথি স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। কে বা কারা কী কারণে এমন করল, বুঝতে পারছি না।
শেখেরচর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাসুদ আলম বলেন, তিথির মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
নরসিংদী সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, কী কারণে এবং কারা এ ঘটনায় জড়িত, তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।