ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের
Published: 28th, January 2025 GMT
সব ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এ নির্দেশ দিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি, আবাসন সহায়তা, দুর্যোগ ত্রাণ এবং ফেডারেল অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য উদ্যোগকে ব্যাহত করতে পারে।
সোমবার এক স্মারকে ফেডারেল বাজেট তত্ত্বাবধানকারী অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অনুদান এবং ঋণ পর্যালোচনা করার সময় অর্থ স্থগিত রাখা হবে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সেগুলো প্রেসিডেন্টের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভেথ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সাথে সাংঘর্ষিক নীতিমালার জন্য ফেডারেল সম্পদের ব্যবহার ‘করদাতাদের অর্থের অপচয়, যা আমরা যাদের সেবা করি তাদের দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি করে না।”
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এই স্থগিতাদের মধ্যে ‘বিদেশি সহায়তার জন্য’ এবং ‘বেসরকারি সংস্থাগুলোর’ জন্য নির্ধারিত যেকোনো অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়েছে, এই স্থগিতাদেশ সামাজিক নিরাপত্তা বা মেডিকেয়ার পেমেন্ট বা ‘ব্যক্তিদের সরাসরি প্রদত্ত সহায়তার’ ওপর প্রভাব ফেলবে না।
তবে এতে সম্ভবত দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অর্থ প্রদানের পরিমাণ কমবে। অবশ্য প্রবীণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি প্রভাবিত হবে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ