ইসরায়েলিদের গ্রিনল্যান্ডে পাঠানোর পরামর্শ ইরানের
Published: 28th, January 2025 GMT
ইসরায়েলিদের গ্রিনল্যান্ডে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ পরামর্শ দিয়েছেন।
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘নির্মূল’ করার ট্রাম্পের প্রস্তাবকে উপহাস করে আরাঘচি বলেছেন, “আমার পরামর্শ অন্য কিছু। ফিলিস্তিনিদের পরিবর্তে, ইসরায়েলিদের বহিষ্কার করার চেষ্টা করুন - তাদের গ্রিনল্যান্ডে নিয়ে যান যাতে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে।”
নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ের পর থেকে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাক্ষাৎকারে আরাঘচি স্বীকার করেছেন যে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধের সময় ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তবে তারা তাদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “হামাস এবং হিজবুল্লাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু একই সাথে, তারা নিজেদের পুনর্গঠন করছে, কারণ আমি যেমন বলেছি, এটি একটি চিন্তাধারা, এটি একটি ধারণা, এটি একটি কারণ, এটি একটি আদর্শ যা সবসময় থাকবে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’