জেলা বিএনপির সম্মেলন বাতিলের দাবিতে একাংশের জুতা মিছিল
Published: 28th, January 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। তবে সম্মেলন বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরে জুতা মিছিল করেছে বিএনপির একাংশ।
জুতা মিছিলটি শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে লোকনাথ উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মঞ্জু, জেলা বিএনপি নেতা মাঈনুল ইসলাম চপল, জেলা যুবদল সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আগামী শনিবারের সম্মেলন অবৈধ। যতক্ষণ না ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্মেলনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলন করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও এ সম্মেলন ঠেকানো হবে।
প্রসঙ্গত, ‘নিয়ম না মেনে’ জেলা সম্মেলনের ভোটার তালিকা তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপির একাংশ। তাদের দাবি, ত্যাগী ও নির্যাতিতদের সমন্বয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হোক।
গত ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনের জন্য প্রথমবার তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তা পরিবর্তন করে চলতি মাসের ১৮ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জেলা বিএনপির একাংশের প্রতিবাদের মুখে তৃতীয় দফায় ১ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এদিকে দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও সম্মেলনের দিন পেছানোর দাবিতে শনিবার থেকে আজ সন্ধ্যায় পর্যস্ত টানা বিক্ষোভ মিছিল, মশাল মিছিল, ঝাড়– মিছিল ও জুতা মিছিল করেছে জেলা বিএনপির একাংশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব র হ মণব ড় য় ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছাত্রলীগের মিছিলের পর দুই আ.লীগ নেতার বাসায় হামলা
সিলেটে সকালে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ঝটিকা মিছিল করার পর বিকাল ও সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার এবং ছাত্রলীগের এক নেতারা বাসায় হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেটে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় বিকালে হামলা হয়েছে। প্রায় একই সময়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায়ও হামলা চালানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে বিনোদনকেন্দ্রে হামলা, পুলিশসহ আহত ৭
রাঙ্গুনিয়ায় আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু
হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে।
সিলেট নগরীর শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর (নাদেল) বাসভবনের ‘ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্টের কার্যালয়ে’ হামলা চালায় একদল মানুষ। তারা মিছিল নিয়ে তার বাসায় ঢুকে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেলে করে শতাধিক তরুণ-যুবক গিয়ে এ হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি লুটপাট চালান। বাসাটিতে আনোয়ারুজ্জামানের পরিবারের কেউ থাকেন না। দুজন তত্ত্বাবধায়ক বাসার দেখাশোনা করেন।
মেজরটিলা এলাকায় অবস্থিত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তদের একটি দল। সন্ধ্যা সাতটায় রুহেলের বাসায় হামলার সময় তাঁর মা ও বোন বাসায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অবশ্য এসব হামলায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল থেকে সিলেট নগরীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মাঠে নামে। তারা ভিডিওতে দেখা যাওয়া চার-পাঁচজন মিছিলকারীকে ধরে পুলিশে হাতে তুলে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাত্রলীগের ব্যানারে ৩০ থেকে ৪০ জন তরুণ নগরের ধোপাদিঘিরপাড় এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। এতে ছাত্রদলের কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালান।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নাদেলের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, মিছিলকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।