বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী
Published: 28th, January 2025 GMT
দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুচেভিচ। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
গত নভেম্বরে সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর নোভিসাদে একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। এর জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ। একপর্যায়ে তা দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নেয় এবং পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছিল। বিশেষ করে ছাত্ররা এ বিক্ষোভে বেশি যুক্ত হয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মিলোস ভুচেভিচ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ সকালে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করেছি। আমরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করি। শেষ পর্যন্ত তিনি আমার যুক্তি মেনে নিয়েছেন। তাই আমি পরিস্থিতি, যাতে আরও জটিল না হয় এবং দেশে নতুন করে যাতে আর কোনো উত্তেজনা তৈরি না হয়, এ জন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভুচেভিচ নোভি সাদের মেয়র থাকার সময় ওই ট্রেন স্টেশনের সংস্কার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি শহরটির মেয়র ছিলেন। তিনি মেয়র থাকার সময়ে স্টেশনের সংস্কারকাজে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ