দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুচেভিচ। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

গত নভেম্বরে সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর নোভিসাদে একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। এর জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ। একপর্যায়ে তা দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নেয় এবং পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছিল। বিশেষ করে ছাত্ররা এ বিক্ষোভে বেশি যুক্ত হয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মিলোস ভুচেভিচ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ সকালে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করেছি। আমরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করি। শেষ পর্যন্ত তিনি আমার যুক্তি মেনে নিয়েছেন। তাই আমি পরিস্থিতি, যাতে আরও জটিল না হয় এবং দেশে নতুন করে যাতে আর কোনো উত্তেজনা তৈরি না হয়, এ জন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভুচেভিচ নোভি সাদের মেয়র থাকার সময় ওই ট্রেন স্টেশনের সংস্কার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি শহরটির মেয়র ছিলেন। তিনি মেয়র থাকার সময়ে স্টেশনের সংস্কারকাজে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ