হাফভাড়া না নেওয়ার জেরে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশালের রূপাতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

আহত বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা হলেন, সাব্বির আহমেদ, রাফি ও রিয়াজ।

আরো পড়ুন:

রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬

সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ বিকেলে বিএম কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের এক ছাত্রী বরিশাল-ঝালকাঠি সড়কে যাতায়াতকারী একটি বাসের হেলপারকে হাফভাড়া নিতে বলেন। বাসের হেলপার হাফ ভাড়া না নিয়ে উল্টো ওই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা টার্মিনালে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

বিএম কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, “খবর পেয়ে আমরা সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ বিষয়ে বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট কেউ আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। উল্টো শ্রমিকরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আমাদের ধাওয়া দেয়। এর আগে আমাদের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের ঘটনায় জড়িত শ্রমিকদের বিচার ও হাফ ভাড়া নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সভাপতি জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, “হামলা-ভাঙচুর কিংবা সড়ক অবরোধ করে জনগণের ভোগান্তি না করে বাস স্টাফ ও মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হত। জনদুর্ভোগ হতো না।”

বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক বিদ্যুৎ চন্দ্র দে বলেন, “শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।”

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের ঝামেলা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।” 

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অপরাধীদের উৎসাহিত করবে: চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

দুজন নারীর সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে তাদের লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এমন ঘটনা একটি ফৌজদারি অপরাধ। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে।

রাজধানীর লালমাটিয়ায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল দাস ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওপেন স্পেসে (উন্মুক্ত স্থানে) সিগারেট না খাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সিগারেট খাওয়া–সংক্রান্ত আইনে টংদোকান ওপেন স্পেসের (উন্মুক্ত স্থান) মধ্যে পড়ে না, তিনি হয়তো আইনটি পড়ে দেখেননি।’

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উগ্র সাম্প্রদায়িক নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠী ক্রমাগত নারীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নারীদের নির্যাতন করতে দেখা গেছে। শুধু তা–ই নয়, এই গোষ্ঠী নারীদের খেলা বন্ধ করা, সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ করা, মাজারে আক্রমণসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকার এসব বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে চরম ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কীভাবে ক্রিমিনাল অফেন্সকে জাস্টিফাই করেন’৫ ঘণ্টা আগে

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সরে যাওয়া উচিত বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নারী লাঞ্ছনাসহ সব মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন‘পাবলিক প্লেসে’ ধূমপান নারী–পুরুষ সবার জন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা০২ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ