বাস শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩
Published: 28th, January 2025 GMT
হাফভাড়া না নেওয়ার জেরে বাস শ্রমিকদের সঙ্গে বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বরিশালের রূপাতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আহত বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা হলেন, সাব্বির আহমেদ, রাফি ও রিয়াজ।
আরো পড়ুন:
রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ বিকেলে বিএম কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের এক ছাত্রী বরিশাল-ঝালকাঠি সড়কে যাতায়াতকারী একটি বাসের হেলপারকে হাফভাড়া নিতে বলেন। বাসের হেলপার হাফ ভাড়া না নিয়ে উল্টো ওই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা টার্মিনালে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
বিএম কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, “খবর পেয়ে আমরা সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ বিষয়ে বাস টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট কেউ আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি। উল্টো শ্রমিকরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আমাদের ধাওয়া দেয়। এর আগে আমাদের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের ঘটনায় জড়িত শ্রমিকদের বিচার ও হাফ ভাড়া নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
রূপাতলী বাস মালিক সমিতির সভাপতি জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, “হামলা-ভাঙচুর কিংবা সড়ক অবরোধ করে জনগণের ভোগান্তি না করে বাস স্টাফ ও মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হত। জনদুর্ভোগ হতো না।”
বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক বিদ্যুৎ চন্দ্র দে বলেন, “শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।”
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের ঝামেলা হয়েছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।