গাজীপুরের শ্রীপুরে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ শাহজাহান ফকির এবং সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টারের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্যটি জানানো হয়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান মোল্লা এবং গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়াত উল্লাহ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মজিবুর রহমান মোল্লা এবং আয়াত উল্লাহকে দল থেকে প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ব্যক্তির অপকর্মের কোনো দায়দায়িত্ব দল নেবে না। বিএনপির নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃত ব্যক্তির সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নয়নপুর বাজার রিদিশা কারখানার সামনে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এছাড়া পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।


বহিষ্কৃত এ দুই নেতার নির্দেশে গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর দা, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা আক্রমণের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে দুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এর আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এসময় এক পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে রিদিশা কারখানার সামনে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আয়াত উল্লাহ বলেন, “আক্তার মাস্টার লোকজন পাঠিয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টি করে। সে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার হাতে ক্ষমতা আছে। তাই আমাদের বহিষ্কার করেছে। দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি পক্ষের লোকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার বলেন, “গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর বাজার রিদিশা কারখানার সামনে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

ঢাকা/রফিক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ড ব এনপ র স গ জ প র ইউন ঝ ট ব যবস স ঘর ষ উপজ ল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

আসক্তিহীন ব্যথানাশক নতুন ওষুধের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

আসক্তিমূলক নয় ( নন-ওপিওয়েড) এমন একটি ব্যথানাশক ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। প্রাপ্তবয়স্কদের স্বল্পমেয়াদি ব্যথার চিকিৎসায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

ব্র্যান্ড নাম জারনাভ্যাক্স হিসেবে পরিচিত সুজট্রিজিন নামে এই ওষুধটি মানুষের শরীরের ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আগেই কাজ করতে শুরু করে। খবর বিবিসির

প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, এই ওষুধটিতে আসক্তি সৃষ্টিকারী উপাদান ওপিওয়েড নেই। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথার উপশম করতে পারে।

বছরের পর বছর ধরে ব্যথানাশক ওষুধের আসক্তিজনিত সমস্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ‘জাতীয় লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।

মানুষের শরীরে নতুন ব্যথানাশক ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এফডিএ বলেছে, অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে জারনাভ্যাক্স কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এই ওষুধের অনুমোদন দেওয়াকে জনস্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর হিসাব অনুসারে, প্রতিবছর আসক্তি উদ্রেগকারী ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। ২০২২ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে ৮২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সীমান্ত করারোপ করবেন। চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপেরও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। চীনের ফেন্টানিল রপ্তানিকে একটি কারণ উল্লেখ করে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ওপিওয়েড শরীরের ব্যথার সংকেতগুলোকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে দেয় না। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মস্তিষ্ক নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনে ভরে যায়। এটি আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। আর এসবের মধ্য দিয়ে ওপিওয়েড অনেক বেশি আসক্তি তৈরি করে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা সারাতে প্রায় ৮ কোটি মানুষকে ওষুধ খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ভারটেক্সের প্রধান নির্বাহী রেশমা কেওয়ালরামানি এই অনুমোদনকে ঐতিহাসিক মাইলফলক বলেছেন।

কোম্পানিটি বলেছে, জারনাভ্যাক্সের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম পড়বে সাড়ে ১৫ ডলার করে। তবে ওষুধটি শিশুদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর কি না, তা এখনো জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ