‘কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু হাত বদল হয়েছে’
Published: 28th, January 2025 GMT
কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি শুধু হাত বদল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এক পথ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা কেরানীগঞ্জে এসে দেখছি, সুন্দর একটি রাস্তা রয়েছে। তবে রাস্তার দুই পাশের খালগুলো দেখে মনে হচ্ছে, এগুলো ডাস্টবিন নতুবা নর্দমায় পরিণত হয়েছে। অথচ খালগুলো সুন্দরভাবে খনন করা যেত তাহলে কেরানীগঞ্জ সুন্দর একটি পর্যটন স্পটে পরিণত হতে পারত।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা জেনেছি, এই খাল খনন এবং উন্নয়নের জন্য কেরানীগঞ্জে অসংখ্য বাজেট এসেছে। এখানকার কিছু ভণ্ড পীর ও তাদের ভণ্ড মুরিদরা সেগুলো (বাজেট) বিদেশে পাচার করেছে। এই অপকর্মের জন্য তারা এখন জেলখানায় রয়েছে। সেখান থেকে তারা আবার সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।”
সারজিস বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেরানীগঞ্জে আমি এই প্রথম আসলাম। আমার আরো আগে আসা উচিৎ ছিল। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজী, থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, এখনো চলছে। আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই চলবে। আপনাদের ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে। আজ থেকে ৫ মাস আগে খুনি হাসিনা আমলে কেরানীগঞ্জে যে চাঁদাবাজি চলতো, এখন তা শুধু হাত বদল হয়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি। বিগত বছরগুলোতে খুনি হাসিনা মানুষের ওপর যে জুলুম চালিয়েছে বাংলার মানুষ তা ভুলে যায়নি।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি জাবেদ, সাইমন চৌধুরী, অপু, ফেরদৌস, বকুল ও সুমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আলামিন মিনহাজ, জুম্মন, ইমরান।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বিশ্বনেতাসহ সাধারণ মানুষের ঢল
রোমান ক্যাথলিকদের প্রয়াত ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল থেকেই ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জার সামনের চত্বরে এই রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিতে ভ্যাটিকানে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও রাজপরিবারের সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রিন্স উইলিয়াম, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ ও রানী লেতিজিয়া এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে রোমে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প,।
এছাড়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন, ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলে শেষকৃত্যানুষ্ঠানে থাকবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোমে পৌঁছেছেন। তিনি তার স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কা এবং একটি ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল নিয়ে শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছেন। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সস্পিলনকে এ তথ্য জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র।
সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্যাথলিক ধর্মানুসারি থেকে শুরু করে শোকাহত হাজারো মানুষ। বুধবার সকালে পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় আনা হয় এবং শুক্রবার সন্ধ্যায় জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন শেষ হয়। এই তিনদিনে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বলে ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
বুধবার, যখন প্রথম মরদেহ দর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তখন ব্যাসিলিকা পুরো রাত খোলা খোলা রাখা হয়েছিল যাতে ভক্তরা দেখতে পারেন। ৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস চলতি বছরের প্রথম দিকে দু’বার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। মৃত্যুর প্রায় এক মাস আগে তিনি হাসপাতাল থেকে ভ্যাটিকানের বাসায় ফেরেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষে রোববার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরদিন সকালে ভ্যাটিকান তাঁর মৃত্যুর খবর জানায়। খবর-বিবিসি