বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় গৃহবধূ আহত, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
Published: 28th, January 2025 GMT
বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূ শাহানাজ বেগম (৩৪)কে পিটিয়ে ও শ্লীলতাহানি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বদমেজাজি অহিদ ও সজিব বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুর ১টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের মাহামুদনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে আহত গৃহবধূ বাদী ঘটনার ওই দিন বিকেলে হামলাকারি অহিদ ও সজিবের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার মাহামুদনগর কলাবাগান এলাকার মাসুদ রানা স্ত্রী শাহানাজ বেগমের সাথে একই এলাকার মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়ার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিপক্ষ অহিদ ও একই এলাকার সজিব উল্লেখিত গৃহবধূকে বেআইনী জনতাবদ্ধে পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
গৃহবধূ শাহানাজ বেগম গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ওই সময় অহিদ ও সজিব ক্ষিপ্ত হইয়া লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
ওই সময় হামলাকারি অহিদ গৃহবধূ পরিহিত জামাকাপড় ধরে টানাহেচরা করে শ্লীলতাহানী করে গলায় পরিহিত ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও অপর হামলাকারি সজিব ভেনিটি ব্যাগে রক্ষিত নগদ ১ হাজার ৮শ’ টাকা জোরপূবর্ক নিয়ে যায় এবং হাতে থাকা ইনফিনিক্স ব্রান্ডের স্মাট ফোন ভাংচুর করে।
গৃহবধূ ডাক চিৎকারের এলকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আহত গৃহবধূকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ হবধ গ হবধ
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি বছরে ডিএনসিসি এলাকায় ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
চলতি বছরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৫ লাখ গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা'য় ‘পরিবেশ বাঁচাও’ শিরোনামে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মো. আবু সেলিমের একক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা, ফুটপাত, মিডিয়ান ও সব পাবলিক স্পেসে আমরা বৃক্ষরোপণ শুরু করেছি। এই বছর আমরা ৫ লাখ বৃক্ষরোপণ করবো। এই বৃক্ষরোপণে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা হবে, পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে এমন সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলো ঢাকার রাস্তায়, ফুটপাতে, মাঠে, পার্কে, খালে, ড্রেনে প্রতিটি জায়গায় এতো বেশি ময়লা, যা সংগ্রহ করতে করতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা টায়ার্ড হয়ে যায়। মানুষ ঢাকা শহরে নির্বিচারে যত্রতত্র ময়লা ফেলে দেয়। পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে হলে যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে। আমাদের সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদেরও আরও দক্ষতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
মোহাম্সদ এজাজ বলেন, ‘অনেক জায়গায় দেখা যায় ময়লা এসটিএসে (সেকেন ট্রান্সফার স্টেশন) না ফেলে খালে, বিলে ফেলে দিচ্ছে। অনেকে রান্না ঘরের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলে দিচ্ছে। এর ফলে শহর নোংরা হচ্ছে, আমরা নিজেরা নিজেদের বাড়িঘর নোংরা করছি পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছি। বাসাবাড়ির এসব ময়লা বিশেষ করে প্লাস্টিক, পলিথিনে বৃষ্টির পানি জমে এডিস মশার জন্ম হয়৷ এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এগুলো বন্ধ করতে হবে, সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ঢাকা শহরে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বড় অংকের মুনাফার জন্য পরিবেশের ক্ষতি করেছে। তাদের দখলেই গেছে খাল, বন। আমরা গত সরকারের আমলে প্রাণ বিনাশী উন্নয়ন দেখেছি। আমাদের লেখক, শিল্পী, সাংস্কৃতিকদের প্রাণ বিনাশী ক্ষতির বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। এমন কোন উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না যে প্রকল্প মানুষের জীবন বিপন্ন করে, প্রাণ বিপন্ন করে, নদী বিনষ্ট করে, বাতাস দূষিত করে।’
পরে ডিএনসিসি প্রশাসক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।