দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের সুখবর দিলেন গভর্নর
Published: 28th, January 2025 GMT
দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতকারীরা চলতি বছরই তাদের টাকা কিংবা এর পরিবর্তে বন্ড বুঝে পাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন আহসান এইচ মনসুরকে দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চান। তখন তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ১০ বছর আগে থেকেই বলছি, আপনারা এস আলমের ব্যাংকে টাকা রাখবেন না। আপনারা রেখেছেন। দুই শতাংশ সুদ বেশি দিয়েছে তাই রেখেছেন, এখন ধরা খেয়েছেন।’’
গভর্নর বলেন, ‘‘সমবায় সমিতির আন রেগুলেটে মার্কেট তৈরি হচ্ছে। এতে করে স্ক্যাম তৈরি হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ধরনের লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না বিবেচনা করা হবে। কারণ এগুলো লোন শার্ক তৈরি করছে স্থানীয়ভাবে। এ ছাড়া সমবায় সমিতির নামে গ্রাহক হয়রানি ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ঋণের প্রভাবে দরিদ্রতা কমছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। আগামীতে ডিজিটাল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, এমআরএ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।