দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানতকারীরা চলতি বছরই তাদের টাকা কিংবা এর পরিবর্তে বন্ড বুঝে পাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন আহসান এইচ মনসুরকে দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চান। তখন তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ১০ বছর আগে থেকেই বলছি, আপনারা এস আলমের ব্যাংকে টাকা রাখবেন না। আপনারা রেখেছেন। দুই শতাংশ সুদ বেশি দিয়েছে তাই রেখেছেন, এখন ধরা খেয়েছেন।’’

গভর্নর বলেন, ‘‘সমবায় সমিতির আন রেগুলেটে মার্কেট তৈরি হচ্ছে। এতে করে স্ক্যাম তৈরি হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই ধরনের লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না বিবেচনা করা হবে। কারণ এগুলো লোন শার্ক তৈরি করছে স্থানীয়ভাবে। এ ছাড়া সমবায় সমিতির নামে গ্রাহক হয়রানি ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ঋণের প্রভাবে দরিদ্রতা কমছে কি না, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। আগামীতে ডিজিটাল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, এমআরএ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ