সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর (এসকে সুর) চৌধুরীর লকার থেকে জব্দ করা বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কেউ সেই ভল্ট খুলতে পারবেন না বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হুসাইন জব্দ করা এমটিডিআর, মার্কিন ডলার, ইউরো এবং স্বর্ণালংকার ট্রেজারি/উপযুক্ত স্থানে রাখার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জব্দ করা বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণলংকার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখার নির্দেশ দেন। 

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি এ লকার জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা এসকে সুরের তিনটি লকার খুলতে সক্ষম হয় দুদকের সাত সদস্যের দল। সেখান থেকে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার এবং ১ কেজি ৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআরের নথি পাওয়া গেছে।

গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিনেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ