দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয় ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্লাজার সঙ্গে ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের পারস্পরিক সমঝোতা (এমওইউ) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ওয়ালটন প্লাজা পরিবারের সদস্য এবং ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীগণ ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের বিভিন্ন অ্যামিউজমেন্ট পার্কে প্রবেশ ও বিভিন্ন রাইড গ্রহণে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাবেন। অপরদিকে, চুক্তির আওতায় ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের সদস্যগণ ওয়ালটন প্লাজা থেকে পণ্য কেনায় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ ছাড় পাবেন।

গত রোববার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৫) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান এবং ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি এম মাশফিকুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ওয়ালটন প্লাজার চিফ সেলস এক্সিকিউটিভ ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল ইসলাম, ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম খানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা/একরাম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরে চীনা শিক্ষার্থী দ্বিগুণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক বছরে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৪ সালে চীন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন ৯ জন শিক্ষার্থী। আর চলতি ২০২৫ সালে পড়তে এসেছেন ১৮ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬ জন। এসব শিক্ষার্থী আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা-গবেষণা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) রয়েছে। চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয় ও বেইজিং ফরেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুনচীনের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ, প্রথম বছরে ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ান ২০ এপ্রিল ২০২৫

এসব সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আওতায় এবং চীন সরকারের বৃত্তি নিয়ে এই বছর চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৭ জন। সম্প্রতি চিকিৎসা গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে এগিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে চীনের ইউনান পিকিং ক্যানসার হাসপাতাল এবং কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা দূর করার জন্য স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে ১০টি কক্ষের সমন্বয়ে একটি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। চীন থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান করছেন। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে চীন সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নামে একটি আবাসিক হল নির্মাণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডের ‘টঙ্গারেওয়া স্কলারশিপ’, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সুযোগ১৯ এপ্রিল ২০২৫

আগামী আগস্ট মাসে চীনের শিক্ষার্থীরা দুই সেমিস্টারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সে পড়ারও আগ্রহ দেখিয়েছেন তাঁরা। এ লক্ষ্যে চীনের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে চায়। সেজন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। খুব শিগগির বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা-গবেষণা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়ের ক্ষেত্রটি আরও সম্প্রসারিত হবে।

এদিকে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শুধু ভাষাগত দক্ষতাই অর্জন করছে না, বরং চীনের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যোগাযোগ বেড়েছে। গত বছরের নভেম্বরে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সাত দিনের সফরে চীনে যান। সফরকালে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ইউনান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া উপাচার্য চীনের সেন্টার ফর ল্যাংগুয়েজ এডুকেশন অ্যান্ড কো-অপারেশন, চাইনিজ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর চায়নিজ ল্যাংগুয়েজ টিচিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম চালুর সম্ভাব্যতা নিয়ে মতবিনিময় করেন। সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফর করেন চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের একাডেমিক বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুনসবচেয়ে বেশি বই পড়েন মার্কিনরা, বাংলাদেশিদের অবস্থান কততম১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরে চীনা শিক্ষার্থী দ্বিগুণ