সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের এক তরুণীকে অপহরণের পর সপ্তাহব্যাপী আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশী হাসান নামে যুবকের বিরুদ্ধে।

ধর্ষিত ওই তরুণীর গত ২ দিন ধরে সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারীকে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছেন। কিন্তু ওই তরুণীর মামলার আবেদেনের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষককে থানায় ধরে এনে ওসি দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে চালান করে দেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী।

এ ব্যাপারে রোববার পুলিশ হেডকোয়াটার্সে গিয়ে আইজিপি'স কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে সোনারগাঁও থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, তার স্বামী কর্মসূত্রে প্রবাসে (সৌদী আরব) থাকার সুযোগে বিগত ৬ মাস যাবত তাকে নানাভাবে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে ইলিয়াসদী গ্রামের মো: শাহাবুদ্দিনের লম্পট ছেলে মো.

হাসান। 

তার এসব কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল হাসান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে দড়িকান্দি এলাকা থেকে স্প্রে করে অজ্ঞান করে একটি প্রাইভেটকারে করে অপহরণ করে সাভারের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় হাসান।

দুই দিন পর আমার জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি নিজেকে একটি অন্ধকার ঘরে আবিষ্কার করেন,কৌশলে পালিয়ে এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে তার ভাইকে ফোন করেন ধর্ষিতা ওই তরুণী। খবর পেয়ে তার ভাই সাভার থেকে তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ নিয়ে আসেন। 

ধর্ষিত ওই তরুণীর  সোনারগাঁও থানার ওসি এম এ বারীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়ার জন্য অনুরোধ করে । কিন্তু ওই তরুণীর মামলার না নেওয়া এবং ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে  সন্দেহভাজন আসামি লম্পট হাসান কোর্টে চালান করে দেওয়া।

ধর্ষিত ওই তরুণী পুলিশ হেডকোয়াটার্সে গিয়ে আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে সোনারগাঁও থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছেড়ে দেওয়া একটি অভিযোগ করা হয়।

আইজিপি বরাবর অভিযোগের পড় ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে,একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নম্বর-৩২/ তারিখ ২৬/১/২০২৫ ইং ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সাংশোঃ)০৩) এর ৭/৯(১)তৎসহ ৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোট।

সোনারগাঁ থানার ওসি এম এ বারীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইজ প

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬  

বন্দরে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের  ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারিরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ  নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮) একই থানার দাঁশেরগাও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯) নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪) কাইতাখালি এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মোঃ শরিফ (২৭)।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে আনিকা ওরফে রিংকি (২৫) নামে এক নারীর মাধ্যমে ফাঁদ পেতে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইনাকে  অপহরণ করা হয়।  

এ ঘটনায় অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারীসহ  ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। 

পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরনকারিকে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিন (৩০)  রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

তথ্যসূত্রে জানাগেছে,  বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী আনিকা ওরফে রিংকির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে রিংকি ম্যাসেঞ্জারে আল  আমিনকে  বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে।  

পরে তাকে অপহরণ করে কাইতাখালি  বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাকুরের পাড়ে নিয়ে  কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারিরা অপহৃত আল আমিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।  

পরে অপহরনকারীরা অপহৃত পিতার কাছ থেকে  বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহরনকারীরা অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনকে কাইতাখালি এলাকা থেকে  সাবদী এলাকায় তুলে নিয়ে যায়। 

এক পর্যায়ে অপহৃত আল আমিন   টহলরত পুলিশের গাড়ী দেখে থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় অপহরণকারীরা  কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ‘অপহরণ’
  • প্রেমের প্রস্তাবে রাজ না হওয়ায় মাদরাসাছাত্রীকে ‘অপহরণ’
  • নিজের অপহরণের নাটক সাজিয়ে স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ দাবি
  • ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদ পেতে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬ 
  • ফেসবুকে পরিচয়, দেখা করতে গিয়ে অপহৃত গ্রাফিক ডিজাইনার
  • ১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু
  • নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬