ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) উপাচার্য বরাবর দেওয়া শিক্ষক সমিতির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অনুগত বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক সমিতি এখনো নিজেদের বৈধতা দাবি করে উপাচার্য বরাবর প্রেরিত পত্রের প্রতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা শিক্ষক সমিতির নামে দেওয়া এ পত্রের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে নীল দল ছাড়া অন্য কোনো দল ও প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় পুরো প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। গত জুলাই-আগস্টে পরিচালিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান-বিরোধী অবস্থান এবং স্বৈরশাসকের পক্ষে নির্লজ্জ ভূমিকা পালনের জন্য গত আগস্ট মাসে সাদা দল সমর্থক শিক্ষকবৃন্দ এ শিক্ষক সমিতিকে প্রত্যাখ্যান করে।

শুধু তাই নয়, স্বৈরশাসক খুনি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও দেশ ছেড়ে তার পলায়নের ঠিক দুদিন আগে গণ ভবনে উপস্থিত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সমিতির নেতৃবৃন্দের বিচার দাবি করছে সাদা দল। দেশের বিবেকবান অনেক ব্যক্তিও ইতোমধ্যে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক সমিতির নামে দেওয়া পত্রে ২০০৭ সালের যে দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়েছে, তা দেখিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর এ শিক্ষক সমতির বৈধতা দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তখন শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব চলমান রাখা হয়েছিল শিক্ষকদের সর্বসম্মত সমর্থনের ভিত্তিতে। তাছাড়া তখন সমিতির অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা কেবল শিক্ষক সমাজের কাছেই নয়, গোটা জাতির কাছে ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু বৈধ হিসেবে দাবি করা এ সমিতি ইতোমধ্যেই শিক্ষকগণ ও দেশবাসীর কাছে প্রত্যাখ্যাত ও  নিন্দিত হয়েছে।

সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবি শিক্ষক সমাজের মর্যাদাহানী ও ঐতিহ্যকে ভুলণ্ঠনকারী ফ্যাসিস্টের দোসর এ শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বের দাবিকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। একইসঙ্গে সমিতির পরিচয় ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া তাদের গণবিরোধী ভূমিকা এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারে প্রতি জোর দাবি করছি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ