নরসিংদীতে ৪ হত্যা: ৩৬ ঘণ্টা পেরুলেও হয়নি মামলা
Published: 28th, January 2025 GMT
নরসিংদীর চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে চার জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো মামলা হয়নি।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে চার জন নিহত ছাড়াও অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহামুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।”
তিনি জানান, রবিবার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুল ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জাকির হাসান রাতুল সমর্থিত দুজন ও আশরাফুল ইসলামের সমর্থিত একজন নিহত হন। পরবর্তীতে আরও একজন নিহত হয়। টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে জানতে বাঁশগাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও বন্ধ পাওয়া গেছে।
ঢাকা/হৃদয়/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’