বিশেষ তহবিলের আকার ও সময় বাড়ানোর সুপারিশ ডিবিএর
Published: 28th, January 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিলের আকার এবং সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা এবং বিনিয়োগের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.
ডিবিএর সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
অর্ধবার্ষিকে সাত কোম্পানির অধিকাংশের মুনাফা বেড়েছে
পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ডিওএস সার্কুলার নং-১ এর মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে। এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। এই তহবিলের মেয়াদ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে শেষ হতে চলেছে।
এই বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে। এর ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন (প্রায় ৪০ শতাংশ, বা ২ হাজার ৩০০ বিলিয়ন টাকা) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন: ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী স্টক ব্রোকার এবং অন্য অংশীদারসহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।
আরো বলা হয়, এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এ অবস্থায় বাজার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার জন্য আমরা গভর্নর মহোদয়ের নিকট সুপারিশ করেছি। আশা করি, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে তিনি আমাদের সুপারিশ বিবেচনা করবেন।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প র শ কর ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন দাঁত গজাবে মানুষের
মানুষের হাড় ভেঙে গেলে তা পুনরায় বৃদ্ধি পায়, ঠিক হয়ে যায়। দাঁত সে ক্ষেত্রে মানবশরীরের ভিন্ন একটি অঙ্গ, যা একবার পড়ে গেলে আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। এর ফলে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ একধরনের ইডেন্টুলিজম বা দাঁতহীনতায় ভুগছেন। জাপানি গবেষকেরা একটি পুনরায় দাঁত-উত্পাদনকারী ওষুধ মানবশরীরে পরীক্ষা করবেন বলে জানা গেছে। যদি পরীক্ষা সফল হয়, তাহলে ওষুধটি ২০৩০ সালের কাছাকাছি সময়ে সব ধরনের দাঁতহীনতার সমস্যা দূর করতে পারে।
সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ২০৬টি হাড় থাকে। ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও কোলাজেনের শক্ত মিশ্রণে তৈরি হয় দাঁত। দাঁত অবিশ্বাস্য রকমের স্থিতিস্থাপক একটি অঙ্গ। যদি একবার দাঁত ভেঙে যায়, তাহলে দাঁত নিজে থেকে বিকাশের সুযোগ নেই মানবশরীরে।
দাঁত মানবদেহের সবচেয়ে কঠিন উপাদান এনামেল দিয়ে তৈরি হয়। দাঁতের নিরাময় ও পুনরায় বৃদ্ধি করার ক্ষমতা নেই। জাপানি গবেষকেরা একটি পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে কাজ করছেন, যা মানুষের দাঁত পুনরায় বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দিচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মানুষের ওপরে এই ওষুধের পরীক্ষা করা হয়। জাপানের ওসাকার কিতানো হাসপাতালের মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কাতসু তাকাহাশি বলেন, ‘যাঁরা দাঁতের ক্ষতি বা অনুপস্থিতিতে ভুগছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য কিছু করতে চাই।’
নিরাময়ের চেয়ে দাঁতের বৃদ্ধির দিকে আগ্রহ বেশি মানুষের। ইউটারিন সেনসিটাইজেশন-সম্পর্কিত জিন-১ (ইউএসএজি-১) নামের একটি বিশেষ অ্যান্টিবডি নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এই অ্যান্টিবডি ইঁদুরের দাঁতের বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। ২০২১ সাল থেকে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মানুষের জন্য পরীক্ষা করতে কাজ শুরু করেন। মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি নামের একটি কৌশল আবিষ্কার করা হয় তখন। এটি জিন ও হাড়ের বোন মরফোজেনেটিক প্রোটিন বা বিএমটি নামে পরিচিত অণুর মধ্যে মিথস্ক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিবডি দমন করে দাঁতের বৃদ্ধি নিয়ে পরীক্ষা করছেন এখন। ১১ মাস ধরে দাঁতের এই গবেষণায় ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৩০ জন পুরুষের ওপর নজর রাখা হয়। সব অংশগ্রহণকারীর অন্তত একটি দাঁত অনুপস্থিত ছিল। নতুন ওষুধটি শিরার মধ্য দিয়ে মানবশরীরে প্রেরণ করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিটানো হাসপাতালে দুই থেকে সাত বছর বয়সী রোগীদের দাঁতের চিকিত্সায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য এই ওষুধ উপলব্ধ করতে চান বিজ্ঞানীরা। জন্মগত দাঁতহীন অবস্থা থেকে দাঁতের সমস্যায় এই ওষুধ ব্যাপক আকারে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: পপুলার মেকানিকস