লেস্টার থেকে শেফিল্ডে যোগ দিলেন বাংলাদেশের হামজা
Published: 28th, January 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটিতে হামজা চৌধুরীর চুক্তির মেয়াদ এখনও আড়াই বছর রয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে খুব একটা দলে সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। কেবল ছয়টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন এবার। লেস্টারের বর্তমান কোচ রুদ ফন নিস্তেলরুইর পরিকল্পনায় খুব একটা থাকছেন না হামজা। সে কারণে তাকে দ্বিতীয় বিভাগের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলতে পাঠাচ্ছে লেস্টার সিটি। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি, ২০২৫) লেস্টার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নিতে চেষ্টা করছে শেফিল্ড। সেক্ষেত্রে দলটির হয়ে নিয়মিত একাদশে সুযোগ পাবেন হামজা। যেটার তার ও বাংলাদেশের জন্য সুখবরই বটে।
এর আগে ২০২২-২৩ মৌসুমেও একবার ধারে খেলেছিলেন হামজা। সেবার তার পারফরম্যান্স মনে ধরেছিল শেফিল্ডের কোচ ক্রিস উইল্ডারের। তাইতো এবার হামজাকে প্রশংসায় ভাসাতে কার্পণ্য করেননি তিনি।
আরো পড়ুন:
সমঝোতায় আল-হিলাল ছাড়লেন নেইমার, যাচ্ছেন কোথায়?
ব্রাজিলকে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনাকে রুখে দিল কলম্বিয়ার
শেফিল্ডে যোগ দেওয়া বিষয়ে হামজা বলেছেন, ‘‘শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত। গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল। এখন আমি দলটির হয়ে অবদান রাখতে প্রস্তুত। লিগে কোন অবস্থানে আছে শেফিল্ড সেটা আমি জানি। আমি তাদের আরও বড় কিছু অর্জন করতে সহযোগিতা করতে চাই।’’
শেফিল্ড ইউনাইটেডও হামজাকে স্বাগত জানিয়েছে। তাকে বাংলাদেশের ব্লেড উল্লেখ করে ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছে। এমনকি একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। সেখানে বাংলাদেশের পতাকাও দেখান হয়েছে।
চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে বর্তমানে শেফিল্ড রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে আছে লিডস ইউনাইটেড। ইংলিশ ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুটি দল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উন্নীত হবে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’