গাজীপুরের কালীগঞ্জে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে আবুল হোসেন (৩৫) নামের যুবকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নাগরী ইউনিয়নের পাড়াবর্থা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ।

দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল হোসেন ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার কালীয়াণ্ড এলাকার মুসা মল্লিকের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বিচারক তনিমা আফ্রাদ জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পাড়াবর্থা এলাকায় ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। পরে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩’-এর ১৫ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় দায়ে আবুল হোসেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।

ঢাকা/রফিক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী। 

বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়। 

এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।

স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 

স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ