প্রবাসী দিপু হত্যা মামলায় ৩৭ জন কারাগারে
Published: 28th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জে সৌদি আরব প্রবাসী কাজী দিপু হত্যা মামলায় ৩৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মামলার আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- কালনী গ্রামের ইউপি মেম্বার লুৎফুর রহমান সান্ত, সাবেক মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক, জসিম উদ্দিন, সবর উদ্দিন, অলি উদ্দিন, শামসুদ্দিন, মুতি মিয়া, জজ মিয়া, মধু মিয়া, ইদু মিয়া, কামরুল হাসান, জাহির মিয়া, ইব্রাহিম, ইসমাইল হোসেন, লায়েছ মিয়া, আতাব মিয়া, নিজাম উদ্দিন, তৌফিক মিয়া, আব্দুল আওয়াল, কাউছার মিয়া, জহুর আলী, তোফাজ্জল হোসেন, কাছম আলী, রহমত আলী, ইসমত আলী, রিপন মিয়া, মকসুদ মিয়া, রমজান মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, শহিদ মিয়া, সজিব মিয়া, জয়নাল মিয়া, সাব্বির মিয়া, মকসুদ আলী, খেলু মিয়া, জিতু মিয়া, মেহের আলী ও ইসলাম উদ্দিন।
এদিকে প্রবাসী দিপু হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে কাজী দিপু মিয়ার চার শিশু সন্তানসহ কয়েকশ’ নারী-পুরুষ হবিগঞ্জের আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন কাজী দিপু মিয়া। এর ১০ দিন পূর্বে কাজী দিপু মিয়া সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন।
ঢাকা/মামুন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী রাস্তার ওপর সবজি চাষ আওয়ামী লীগ নেতার
চারঘাটের সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর মাঠপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শত বছর ধরে গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। রাস্তাটি পাকা করতে দরপত্রও করা হয়েছে। সেই রাস্তার জমি নিজের দাবি করে পটোল রোপণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী। এতে মানুষের চলাচল ও মাঠের ফসল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এক যুগে কয়েক দফা কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় শতবর্ষী মাটির রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে পাশের জমির মালিক সমজান আলী শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট অংশ কেটে নিজের জমির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সমজান আলী। সেখানে পটোল রোপণ করা হয়েছে। ১৩ ফুট প্রস্থের সড়ক থেকে আরও ৪ ফুট কেটে নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা পাকাকরণ কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো হুমকি দেন সমজান আলী।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। এখন সেই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী।
নাইমুর রহমান বলেন, বাবা-দাদা সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছেন। এখন শত শত মানুষের চলাচল। মাঠপাড়ার ফসল ভ্যান, ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নেওয়া হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলা হলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
সমজান আলী বলেন, রাস্তার বেশির ভাগ অংশই আমার জমিতে। এ জন্য কিছু অংশ কেটে নিয়েছি। শুধু আমি রাস্তায় জমি দেব– তা হবে না। অন্যদেরও দিতে হবে। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখন কাছে নেই। তবে স্থানীয় আমিন সুবল চন্দ্র ছয় মাসে দুই দফা জমি পরিমাপ করেছে। মাপ অনুযায়ী রাস্তার বেশির ভাগ অংশ আমার জমিতে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় আমিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র বলেন, জমিটি দেড় থেকে দুই বছর আগে পরিমাপ করেছি। কিছু অংশ রাস্তার ভেতরে ছিল। রাস্তাটি এখন সরকারি সম্পদ। তাই সমজান আলী জমি নিতে পারবে না– এ তথ্য তাঁকে জানানো হয়েছিল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শুনানির নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে সমজান আলীকে আসতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জমি ব্যক্তির সম্পত্তি হলেও ২০ বছর সেখানে মানুষজন হাঁটলেই তা সরকারি হয়ে যাবে।