বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘জামায়াতীকরণ’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরকারকে ‘বিশেষ একটি দলের সমর্থিত সরকার’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘‘দেশের বড়-বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ওই বিশেষ দলের লোকজনকে দায়িত্বে বসানো হয়েছে।’’ 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার দোয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব)।

আরো পড়ুন:

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, হাসিনাকে ‘দুষলেন’ রিজভী

জামায়াতের উদ্দেশে রিজভী
‘মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রিজভী বলেন, ‘‘এক বিশেষ দল আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় দখল করে নিয়েছে। সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতীকরণ করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জামায়াতীকরণ করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে জামায়াতী চেতনার লোকজনকে বসানো হয়েছে। আমাদের (বিএনপি) সমর্থিত লোকজন যেমন আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনইভাবে এখনো বঞ্চিত হচ্ছেন।’’

অনুষ্ঠানে রিজভী আরো বলেন, ‘‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শুনবে। রাষ্ট্রের বিরোধিতা অপরাধমূলক কিন্তু সরকারের বিরোধিতা তো অপরাধমূলক নয়। অথচ মাউশি বলে দিলো, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।’’

রিজভী বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দল নানাভাবে মনে করছেন, জুলাই-আগস্টের বিজয় শুধু তাদের। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সরকার। আমাদের কোনো করণীয় ছিল না, কোনো অবদান নেই। আমরা এক-এগারোর সরকারকে বলতাম সেনা সমর্থিত সরকার। আর এখন অনেকেই বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই বিশেষ দল সমর্থিত সরকার। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণ হচ্ছে।’’

রিজভী আরো বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকার তো বিপ্লবী সরকার হওয়ার কথা ছিল। সমস্ত দোসরদের উৎপাটন করে জনগণের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের দিয়েই তো প্রশাসন চলার কথা। সেই দোসরেরা আবার সচিবালয়ের ভেতরে মিছিল করে, দাবি-দাওয়া পেশ করে। তারা মনে করছে, এটা তাদের ন্যায্য পাওনা। এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করেনি এবং এই সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করলেন। এখানে গণবিরোধী আমলাদের পরামর্শে এটা হয়েছে।’’

ডিইএবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো.

হানিফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন—বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ জ ম য় ত করণ সমর থ ত ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।

জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ