শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জামায়াতিকরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনায়’ বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিশেষ দল দখল করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জামায়াতিকরণ করা হয়েছে, এটা ভয়ঙ্কর বিষয়। আমাদের সমর্থিত লোকজন যেমনিভাবে আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, তেমনিভাবে এখনও হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলেছে, রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। শেখ হাসিনা সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দিয়েছে। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শ্রবণ করবে। এর পরে জনকল্যাণের পক্ষে যেসমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে, দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবে। এটাই তো সরকার।

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের বিরোধিতা অপরাধমূলক। কিন্তু সরকারের বিরোধিতা তো অপরাধমূলক নয়। সরকারের বিরুদ্ধে যত সমালোচনা হবে, সেই সরকার যদি সৎ এবং জনগণের মুখাপেক্ষীর সরকার হয়, তাহলে সেই সরকার তো সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাবে। অথচ মাউশি বলে দিল সরকার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না!  

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো.

হানিফের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ জ ম য় ত ইসল ম সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ