গোমার হাসপাতালগুলোতে হতাহতদের তিল ধারনের ঠাঁই নাই
Published: 28th, January 2025 GMT
আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর গোমা শহরে হাসপাতালগুলোতে হতাহতদের তিল ধারণের ঠাঁই নাই। সেখানে গুলি, মর্টার এবং গুলিবিদ্ধ শত শত রোগীর চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এখনো শহরে গোলাগুলি চলছে।
শহরের কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের মানবিক অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাস্তায় ভারী ছোট অস্ত্রের গুলি এবং মর্টারের গুলি অব্যাহত ছিল। রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে জাতিসংঘের মুখপাত্র জেন্স লারকে জানিয়েছেন।
জেন্স লারকে বলেন, “গোমা এবং এর আশেপাশের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গোমার হাসপাতালগুলো আহতদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। যোদ্ধারা ধর্ষণ করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।”
জেনেভায একই ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কঙ্গোর জরুরি প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী অ্যাডেলহাইড মার্শাং জানান, গুলিবিদ্ধ এবং আহত অবস্থায় শত শত লোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর গুলি চালানোর এবং শিশুদেরসহ রোগীদের ক্রসফায়ারে আটকে পড়ার খবর শুনতে পাচ্ছি।”
রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের একটি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি রোগীকে পেয়েছেন যারা মাথায় এবং বুকে আঘাত মর্টার ও ধারালো বস্তুর আঘাত পেয়ে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীরা বিছানার অভাবে করিডোরে অপেক্ষা করছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানকে ‘ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান।
স্টিফেন ডুজারিক গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে প্রতি সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীরা হামলা চালান। এতে ২৫ ভারতীয়সহ ২৬ জন নিহত হন। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করে পরদিন বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় ভারত।
ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ গতকাল বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।