আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর গোমা শহরে হাসপাতালগুলোতে হতাহতদের তিল ধারণের ঠাঁই নাই। সেখানে গুলি, মর্টার এবং গুলিবিদ্ধ শত শত রোগীর চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। 

সোমবার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৩ শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এখনো শহরে গোলাগুলি চলছে।

শহরের কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের মানবিক অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাস্তায় ভারী ছোট অস্ত্রের গুলি এবং মর্টারের গুলি অব্যাহত ছিল। রাস্তায় অনেক মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে জাতিসংঘের মুখপাত্র জেন্স লারকে জানিয়েছেন।

জেন্স লারকে বলেন, “গোমা এবং এর আশেপাশের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গোমার হাসপাতালগুলো আহতদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। যোদ্ধারা ধর্ষণ করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।”

জেনেভায একই ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কঙ্গোর জরুরি প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী অ্যাডেলহাইড মার্শাং জানান, গুলিবিদ্ধ এবং আহত অবস্থায় শত শত লোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর গুলি চালানোর এবং শিশুদেরসহ রোগীদের ক্রসফায়ারে আটকে পড়ার খবর শুনতে পাচ্ছি।”

রেড ক্রস জানিয়েছে, তাদের একটি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি রোগীকে পেয়েছেন যারা মাথায় এবং বুকে আঘাত মর্টার ও ধারালো বস্তুর আঘাত পেয়ে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীরা বিছানার অভাবে করিডোরে অপেক্ষা করছেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ