দেশের সব ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন কারিগরি মাদ্রাসা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস.এম. মাসুদুল হক।

মঙ্গলবার শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।

এস.এম. মাসুদুল হক বলেন, আপনাদের যে ছয় দফা দাবি ছিল সে ছয় দফা দাবিসহ আরও অতিরিক্ত বেশ কিছু বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।

আপনাদের প্রথম দফাতে সকল প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের যে দাবি ছিল তার সাথে একমত পোষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের সকল ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।

আপনাদের আরও বেশ কিছু দাবি ছিল যেমন- একাডেমিক স্বীকৃতি বন্ধ আছে সেটা আমরা এই জুন মাসে চালু করব। আমরা নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপনাদের সব ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্তকরণ ২০২৫ সাল থেকেই শুরু করব। প্রাথমিক পর্যায়ে যে ১৫১৯টি অনুদানভুক্ত প্রাথমিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে সেগুলোসহ অন্যান্য সব মাদ্রাসা জাতীয়করণ করব।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। জাতীয়করণের দাবি‌র অংশ হিসেবে প্রেস ক্লাবে অবস্থান কর্মসূচি থেকে রোববার (২৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এরপর তারা জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করে, লা‌ঠিচার্জ করে। এ প্রেক্ষাপটে আজ মঙ্গলবারও সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। বেলা ২টার মধ্যে ঘোষণা না এলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য়করণ ইবত দ য় ম দ র স জ ত য করণ ইবত দ য আপন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মৌসুমের শেষ নিলামে আড়াই কোটি টাকার চা বিক্রি

দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চলতি মৌসুমের শেষ চা নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। এতে আড়াই কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছে। তিনটি ব্রোকার্সের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ১৩৭ কেজি চা নিলামের জন্য তোলা হয়েছিল।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের খান টাওয়ারের তৃতীয় তলায় চায়ের নিলাম বসে। নিলামে এনটিসি, রেহেনা চা বাগান, হামিদিয়া চা বাগান, সিলেটের লক্কাতুড়া চা বাগান ও পঞ্চগড়েরও কয়েকটি বাগানের চা তোলা হয়।

নিলামে সিলেটের লক্কাতুড়া চা বাগানের ইয়ং হাইসং টি সর্বোচ্চ দরে বিক্রি হয়। এই চা প্রতিকেজি ১৮৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। নিলামে ওঠা ৮০ শতাংশ চা বিক্রি হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য আড়াই কোটি টাকা।

টি ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব শ্রীমঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী খান বলেন, “২০২৪-২৫ নিলাম অর্থবছরের শেষ নিলাম আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকার চা বিক্রি হয়েছে। শেষ নিলামে উৎপাদিত অনেক নতুন পাতা ছিল, যে কারণে বায়ারদের আগ্রহ ছিল বেশি। ভাল ভাল অনেক বাগানের পাতা আজ নিলামে উঠেছিল।”

সম্পর্কিত নিবন্ধ