বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম। ছয় দশকের বর্ণাঢ্য চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করলেও দীর্ঘ সময় পাকিস্তানি সিনেমায় কাজ করেছেন।

পাকিস্তানি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য সেখানে ‘মহানায়িকা’ বলা হয় শবনমকে। তার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া অনেক তারকার কাছে স্বপ্নের মতো। তেমনই এই কিংবদন্তির সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্ন আছে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার।

আরো পড়ুন:

অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান: কাঁদলেন সেলেনা

সাইফের ওপরে হামলা: চর্চিত অমীমাংসিত পাঁচ প্রশ্ন

গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে শবনমের সঙ্গে দেখা করতে যান পূর্ণিমা। সেখানে এই কিংবদন্তির সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেন। তা জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, “বলা যায় এটা আমার একটা অপূর্ণতা যে, আমি শবনম ম্যাডামের সঙ্গে একই সিনেমায় অভিনয় করতে পারিনি। তবে এটা ভীষণ ভালোলাগার যে, তিনি আমাকে খুব স্নেহ করেন, আদর করেন। তিনি আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, তার মতো এত বড় মাপের যাকে আমরা মহিরুহ বলি; সেই তিনি যখন আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেন তখন আসলে কী বলব বুঝে উঠতে পারি না। আমি তো মনে করি আমার অভিনয় তার ভালোলাগার বিষয়টা এক জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। দোয়া করি, ম্যাডাম সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।”

কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন শবনম। ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন মুক্তি পায় এটি। শবনম অভিনীত এটি সর্বশেষ সিনেমা। এরপর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। তবে ভালো গল্প পেলে কাজের ইচ্ছা আছে বলে জানিয়েছেন এই কিংবদন্তি।

অন্যদিকে, অভিনয় থেকে অনেকটাই দূরে আছেন পূর্ণিমাও। এ নায়িকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ছটকু আহমেদের ‘আহারে জীবন’ সিনেমায়। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ