দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ভর্তি কমিটি-২০২৫ এর সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে। ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চারটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সর্বমোট ১ হাজার ৭৯৫টি আসনের অতিরিক্ত হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুইটি, পোষ্য কোটা ১ শতাংশ, বিকেএসপি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০টি আসন সংরক্ষিত হিসেবে রাখা হয়েছে।

পরীক্ষয় আবেদনের শর্তে বলা হয়েছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আবেদন করতে পারবে। ২০২১ সালের পূর্বে মাধ্যামিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য।  

আবেদনের যোগ্যতা নিয়ে বলা হয়েছে, ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক/মাদরাসা/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.

০০ স্কেলে প্রতিটিতে ন্যুনতম ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।

এগ্রিকালচার, ফিসারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্স অনুষদের ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয়ে ন্যুনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।

‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে বাংলাদেশের যেকোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক/মাদরাসা/কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমান বা এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে ৫.০০ স্কেলে প্রতিটিতে ন্যুনতম ৩.৫ সহ মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে।

বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় সমতুল্য গ্রেড থাকতে হবে। ‘ও’ ও ‘এ’ লেভেল পাসকৃতদের জন্য ‘ও’ লেভেলে পাঁচটি বিষয়ে প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড এবং ‘এ’ লেভেলে পদার্থ, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান/কৃষি বিজ্ঞানের মধ্যে তিনটি বিষয়ে প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের (https://hstu.ac.bd/admission/index) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীরা আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একই ওয়েবসাইট থেকে নিজ নিজ প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। ডাউনলোডের পূর্বে আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। পরীক্ষার দিন পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙ্গিন ছবি এবং প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আনতে হবে।

এছাড়া, আগামী ২১ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইউনিটভিত্তিক বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে জানানো হবে। ভর্তি পরীক্ষা বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই এমন কোন তথ্য জানতে চাইলে ০১৭২৯২৬৬২৪৬, ০১৮২২০২৬২২২, ০১৫১৫২৫৬৮১০ নম্বরে অথবা [email protected] ই-মেইল নম্বরে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে।

ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ লেখকের

বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারের সংশোধিত তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লেখক-গবেষক ড. মোহাম্মদ হাননান। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৩ জানুয়ারি ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি তালিকাটি স্থগিত করা করে বুধবার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনজনের নাম বাদ পড়েছে। পূর্বের তালিকায় মোহাম্মদ হাননানকে মুক্তিযুদ্ধ, কথাসাহিত্যিক সেলিম মোরশেদকে কথাসাহিত্য এবং ফারুক নওয়াজকে শিশুসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। এরমধ্যে সেলিম মোরশেদ পুরস্কারে মনোনীতদের তালিকা স্থগিতের পর পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বিবৃতিতে ড. হাননান বলেন, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রাপ্তির তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কারো প্রতি অভিযোগ নেই উল্লেখ করে লেখক আরও উল্লেখ করেন, ‘দীর্ঘসময় ধরে লিখলেও রাষ্ট্রীয় কোনো পুরস্কারের জন্য মনোনীত হইনি, গত ১৬ বছরেও না। এ বছর আমার জন্য ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’ ঘোষণার পর আমার নাম বাদ দেওয়ায় আমি যে দলহীন, গোত্রহীন একজন লেখক তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি এজন্য স্বস্তি অনুভব করছি। আমার নাম বাদ দেওয়ায় কোনো খেদ নেই, অভিযোগ নেই। তবু সবাই শান্ত থাকুক।’

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে লেখালেখি করছি। ‘বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস’ নামক গ্রন্থের ১৪টি খণ্ডসহ আমার মোট গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ৫৮টি, শিশু-কিশোর সাহিত্য ২০টিসহ সম্পাদিত ও অন্যান্য গ্রন্থ মিলে আমার প্রকাশনা সংখ্যা এখন ১৩৪টি।

তিনি আরো লিখেছেন, ১৯৯১ সালে আমার লেখা ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কাজ করি। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় ‘বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক গ্রন্থ। তথ্যগুলো দিলাম এ জন্য যে, আমার সম্পর্কে মানুষ খুব কমই জানে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত শাপলার
  • ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন’ প্রতিবেদন প্রকাশ
  • পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ লেখকের
  • ইসরায়েলি হামলায় পশ্চিম তীরে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
  • ভারতে কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু
  • মহাকুম্ভ মেলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
  • সাউথইস্ট ব্যাংকে বিনা অভিজ্ঞতায় চাকরি, আবেদন অনলাইনে
  • ‘আমার মতো দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে চাই’
  • সাত কলেজে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেয়নি ঢাবি: শিক্ষা উপদেষ্টা
  • সাত কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত আলোচনা করে নেয়নি ঢাবি: শিক্ষা উপদেষ্টা