Risingbd:
2025-01-31@12:09:42 GMT

এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৪০

Published: 28th, January 2025 GMT

এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৪০

২০২৪ সালে সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ৭৩টি। এসব অগ্নিকাণ্ডে ১৪০ জন নিহত এবং ৩৪১ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাস-সংক্রান্ত কারণে বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ২৬ হাজার ৬৫৯টি অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণের মাধ্যেমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করেছে। 

আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ জন কর্মী আহত এবং ২ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা ফায়ার সার্ভিসের ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে।  

গত বছর বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.

৯৮ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২ শতাংশ), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬ শতাংশ), উচ্ছৃঙ্খল জনতার দেওয়া আগুনে ৭৮৯টি (২.৯৫ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪ শতাংশ), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫ শতাংশ), মশার কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশবাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

২০২৪ সালে বসতবাড়ি/আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারা দেশে বসতবাড়িতে মোট ৭ হাজার ১৩১টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা মোট অগ্নিকাণ্ডের ২৬.৭৪ শতাংশ। এছাড়া, খড়ের গাদায় ৪ হাজার ৫১৩টি (১৬.৯২ শতাংশ), রান্নাঘরে ২ হাজার ৪১১টি (৯.০৪ শতাংশ), দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি, হাট-বাজারে ৯১১টি, শপিং মলে ৪৮১টি, পোশাক কারখানায় ২৩৬টি, অন্যান্য কলকারখানায় ৪৯৪টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১১টি, বহুতল ভবনে (৬ তলার বেশি) ১৫৩টি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ১৫০টি, কেপিআই ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২৯টি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১২৬টি, পাট গুদাম-পাটকলে ১২৩টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি, বস্তিতে ৮৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৮টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। একই সময় সারা দেশে বাসে ১১৪টি, ট্রেনে ১৩টি, লঞ্চে ৩টি এবং অন্যান্য যানবাহনে ২৬৮টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। 

ফায়ার সার্ভিসের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারা দেশে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২৩৭ জন ও নারী ১০৪ জন। নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী। 

হতাহতের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বসতবাড়ি/আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৭২ জন আহত ও ৩৬ জন নিহত, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫৩ জন আহত ও ৮ জন নিহত এবং রেস্তোরাঁ ও হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জন আহত ও ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। 

এছাড়া, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ১৫৬ জন আহত ও ৭৫০ জন নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন। ৩০৩টি গবাদি পশু, ৫০টি পাখি এবং ২২৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। 

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন আহত ও

এছাড়াও পড়ুন:

জুমার নামাজের পর তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখে সড়কে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেন  কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় তারা কলেজের প্রধান ফটক  থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে মহাখালী রেলগেট হয়ে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।

এ সময় একজন শিক্ষার্থী বলেন, “রাষ্ট্রের আর কোনো টালবাহানা আমরা মানব না। রাজপথে নেমেছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাষ্ট্র আমাদের দাবি মেনে নিবে, ততক্ষণ আমরা আমাদের রাজপথের লড়াই ছাড়ব না।”

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রুপান্তরের ৭ দফা দাবিকে সরকারের ঘোষণা দিতে হবে। এটিই আমাদের এখন একমাত্র দাবি।” 

৭ দফা দাবি:
১।তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা।
২। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৩। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন।
৪। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল' এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।
৫। একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান।
৬। শিক্ষার গুনগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ।
৭। আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান ও তাদের দাবি রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ঢাকা/হাফছা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুমার নামাজের পর তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 
  • ‘অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন’ প্রতিবেদন প্রকাশ
  • পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ লেখকের
  • পুরস্কার তালিকা থেকে বাদ পড়ায় বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ লেখকের
  • চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
  • ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত ফাইন ফুডস
  • এমবিবিএস ভর্তি : প্রমাণ নিয়ে আসেনি মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৪৯ শিক্ষার্থী
  • মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণ ৫৬ শতাংশই দিয়েছেন ভুয়া তথ্য
  • বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ তালিকা চূড়ান্ত
  • গত বছর লোকসান করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ