সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হচ্ছে: সিইসি নাসির
Published: 28th, January 2025 GMT
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে ইইউ-এর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। নির্বাচনকে সামনে রেখে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পথে যত ধরনের সহায়তা দরকার তারা নিশ্চিত করেছেন.
‘ভোট কবে হবে সেভাবে আলোচনা হয়নি। তারা তো জানেন, হয় ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের শুরুতে। আমি তো এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।’ বলেন এএমএম নাসির উদ্দিন।
সিইসি বলেন, ‘তারা আসলে জানতে চেয়েছেন, ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের (গণতান্ত্রিক রূপান্তর) জন্য যে নির্বাচন হবে, তার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত? কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি? ভোটার রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার জন্য টাইমলাইন কি রকম হবে—সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।’
ইসিকে সহায়তার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের কোথায় কোথায় সহায়তা দরকার তার “নিড অ্যাসেসমেন্ট” (কী কী প্রয়োজন তা মূল্যায়ন) করতে লোক পাঠাবেন। কোথায় সাহায্য করতে পারেন, দেখবেন। তারপর জানাবেন। তাদের মিশন আসবে। তারপর নির্বাচন হলে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা অনুরোধ করলে, তারা প্রতিনিধি পাঠাবেন।’
সিইসি আরও বলেন, ‘ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার বিষয়ে আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। কারণ, আমরা তো সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য।’
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘সিইসির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। আমরা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানার জন্য এসেছিলাম। আমাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসি পরীক্ষা শুরু
সারা দেশে একযোগে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।এবারের পরীক্ষা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে। ১১টি শিক্ষাবোর্ডের ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এ পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে।
দাখিল পরীক্ষা শুরু হলো কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা দিয়ে। ১৩ মে পর্যন্ত দাখিলের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে। আর ১৪ থেকে ১৮ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
বৃহস্পতিবার এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের শিক্ষার্থীরা দিচ্ছে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা। ১৩ মে ইংরেজি-২ পরীক্ষা দিয়ে তাদের তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে।
১৩ থেকে ২২ মে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ২৩ মে থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত বাস্তব প্রশিক্ষণ চলবে।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্র এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী। ১৮০৮৪টি স্কুলের এসব পরীক্ষার্থী ২ হাজার ২৯১ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় বসেছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন ছাত্র এবং ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন ছাত্রী। ৯ হাজার ৬৩টি মাদ্রাসার এসব পরীক্ষার্থী ৭২৫টি কেন্দ্রে তারা পরীক্ষা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় বসেছে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার চলার তিন ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষা চলার সময় কেন্দ্রের আশপাশে ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট নন এমন কোন ব্যক্তি চলাচল করতে পারবেন না।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময় ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ৩৪ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/হাসান/ইভা