বগুড়ায় মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
Published: 28th, January 2025 GMT
বগুড়ায় ১৬ মাস বয়সী শিশু হুমায়রা খাতুনকে হত্যার দায়ে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ ইফতেখার আহমেদ এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার উচুলবাড়িয়া গ্রামের ইদ্রিস আলী পোদ্দারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
অটোরিকশা চালককে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
২৮ অক্টোবর খুনের মাস্টার মাইন্ড শেখ হাসিনা: গোলাম পরওয়ার
মামলার বিবরণে জানা যায়, জাকিরের আগের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। পরে আরও একটি মেয়ে হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২২ সালে ১৬ মাসের শিশু মেয়ে হুমায়রা খাতুনকে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে হত্যা করে পাশের এক ডোবার পানিতে ফেলে দেয়। পরে তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন মেয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে বাড়ির লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে জাকিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
অতিরিক্ত পিপি আরাফাত খাতুনে জান্নাত নীলা জানান, রায় ঘোষণার পর জাকিরকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা/এনাম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।