অটোচালককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে
Published: 28th, January 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে সুজন হাওলাদার নামের এক অটোরিকশা চালককে মিরাজ হোসেন নামে এক ছাত্রদল নেতা ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মিরাজ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
সুজন হাওলাদার (৩৫) মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে। নবী আলী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সদস্য।
জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেলে সুজন হাওলাদার বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। পরে সন্ধ্যার দিকে আমিরাবাদ এলাকায় এলে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁর অটোরিকশার গতিরোধ করেন ছাত্রদল নেতা মিরাজের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক। পরে তারা সুজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার অভিযোগ করেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে ছাত্রদল নেতা মিরাজ ও তার সহযোগীরা সুজনকে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজাহিদ মুন্সীর মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’